ডেস্ক রিপোর্ট: চট্টগ্রাম, ১৬ ডিসেম্বর (ইউএনবি)- চট্টগ্রাম-১০ আসনের বিএনপির প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল নোমানের বিজয় শোভাযাত্রা–পূর্ব সমাবেশে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে দলটির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।
রবিবার বিকালে মহানগরীর হালিশহর থানার নয়াবাজার এলাকায় এ হামলার ঘটনায় অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। পুলিশ হামলাকারীদের গ্রেপ্তার না করে বিএনপির আট নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে বলে দাবি করেছেন নোমান।
ঘটনার পর পরই আব্দুল্লাহ আল নোমান নগরীর ভিআইপি টাওয়ারে তার বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমার ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হইনি। প্রায় সময় মিছিল মিটিংয়ে প্রতিপক্ষ হামলা করেছে কিন্তু কখনো আমার ওপর হামলার সাহস দেখায়নি। এবার তারা প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র বের করে পরিকল্পিতভাবে আমার ওপর হামলার জন্য চেষ্টা করেছে। কিন্তু দলীয় নেতা-কর্মীরা আমাকে নিরাপত্তা দিয়ে সরিয়ে নেয়ার কারণে আমি প্রাণে বেঁচেছি।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘সরকার দলীয় প্রার্থী আবছারুল আমিনের সমর্থকরা ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুমন দেবনাথ ও এরশাদুল আমীনের নেতৃত্বে এ হামলা চালায়।’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান অভিযোগ করেন, এ কর্মসূচির ব্যাপারে চার দিন আগেই সিএমপির বিশেষ শাখায় (সিটিএসবি) লিখিতভাবে জানানো হয়েছিল। আজ কর্মসূচিতে যাওয়ার আগেও ফোনে তাদের অবহিত করা হয়। ‘তারপরও পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তাছাড়া হামলার সময় পুলিশ দূরে অবস্থান করলেও সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেয়নি।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নোমান বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচন করার মতো কোনো পরিবেশ আমি দেখছি না।’
তবে হামলা মামলার পরও নির্বাচন থেকে বিএনপিকে সরানো যাবে না বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ধরনের হামলা অব্যাহত থাকলে জনগণ নতুন চিন্তাভাবনা করবে। সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে প্রতিরোধে এগিয়ে আসবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা একরামুল করিম, অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার সারোয়ার, কাজী বেলাল উদ্দিন, বিভাগীয় শ্রমিকদল নেতা এম নাজিম উদ্দিন, আব্দুল মান্নান, আহমেদুল আলম রাসেলসহ বহু নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। ইউ এনবি