ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীসহ সমর্থকদের ওপর গুলি হামলা এবং গণগ্রেফতার বন্ধসহ নির্বাচনে লেভেল প্লেইং ফিল্ড নিশ্চিতের দাবিতে রাজশাহী মহানগর বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু বলেন, এ সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন তামাশার নির্বাচন করছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মী এবং সমর্থকদের ওপর হামলা করছে।
তিনি বলেন, নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলছে। নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা প্রদান করছে। মোহনপুরে পুলিশ সরাসরি সরকারদলীয় প্রার্থী এবং তাদের ক্যাডারদের সহযোগিতা করছে। দ্রুত প্রাধান নির্বাচন কমিশনার ও মোহনপুরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অপাসরণ দাবি করেন মিনু। সেই সঙ্গে একবিন্দু রক্ত থাকা পর্যন্ত নির্বাচন ছেড়ে যাবেন না বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে বিএনপির প্রার্থী শফিকুল হক মিলন বলেন, পুলিশের প্রত্যক্ষ সহায়তায় মোহনপুরে ত্রাস সৃষ্টি করেছে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। বুধবার রাতে মোহনপুর যুবদলের সভাপতি বাচ্চুকে সরকার দলীয় ক্যাডাররা ডিবি পরিচয় দিয়ে সইপাড়া থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে দুই পায়ে গুলি করে বাগামারার বিলে ফেলে যায়।
তিনি বলেন, মোহনপুর থানার ওসিকে বিষয়টি জানালে তিনি রাজশাহীতে আছেন বলে জানান। এছাড়াও ডিবি পরিচয়ে বুধবার চেয়ারম্যান সোহেল তাজকে গায়েবি মামলায় তুলে নিয়ে যায়। তিনি এখন জেলহাজতে রয়েছেন। এসব অপতৎপরতা বন্ধ না হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এর সমুচিত জবাব দেয়া হবে বলে মন্তব্য করেন মিলন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সভাপতি সাবেক সিটি মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সৈয়দ সাইফুল ইসলাম মার্শাল, মহানগর গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হোসেন আলী পেয়ারা, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা আব্দুল বারী, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রায়হানুল আলম রায়হান, নওহাটা পৌরসভার মেয়র শেখ মকবুল হোসেন প্রমুখ।