কোটা সংস্কার আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী কোনো কোটা থাকবে না বলে ঘোষণা দেনজাতীয় সংসদে। কিন্তু সেই ঘোষণার ১৫ দিন পার হলেও কোনো প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় অস্বস্তিতে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতারা। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার প্রজ্ঞাপন চলতি মাসের মধ্যে জারি না হলে আবার আন্দোলন হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরির সামনে বেলা সাড়ে ১১টায় এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার এতদিন পার হয়ে যাওয়ার পরও কোনো প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় আমরা অস্বস্তিতে রয়েছি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সেই ঘোষণা যদি এই মাসের মধ্যে প্রজ্ঞাপন আকারে জারি না হয় তাহলে আমরা আবার আন্দোলনে যাব।’
লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের অপর যুগ্ম-আহ্বায়ক নুরুল হক নূর বলেন, ‘আমাদের এই কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু থেকেই অহিংস ছিল। কিন্তু সেই দিন বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে উপাচার্যের বাসায় যারা হামলা চালিয়েছে তাদের বিচার দাবি করছি। কিন্তু এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ৪টি মামলা এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অজ্ঞাতনামা মামলা দিয়েছে। আমরা চাই, সুনির্দিষ্ট ব্যক্তিদের নামে মামলা হোক। অজ্ঞাতনামা মামলা দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের হয়রানি করার আশঙ্কা করছি আমরা।’
তিনি আরো বলেন, ‘২১ এপ্রিল জনকণ্ঠ পত্রিকা ‘টার্গেট সরকার পতন, গুলি চালিয়ে মৃত্যুর গুজব’শিরোনামে একটা নিউজ করে। যেটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বানোয়াট। এর মাধ্যমে আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। পত্রিকাটি যদি আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেল ৫টার মধ্যে ওই নিউজের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা না করে তাহলে ছাত্র সমাজ তাদের পত্রিকা বর্জন করবে।’
তিনি এ সময় কোটা সংস্কার আন্দোলনে যারা অংশগ্রহণ করেছে তাদের হয়রানি না করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান। আগামী ৩০ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি মিলানয়তনে শিক্ষক-ছাত্র মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।