বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২৯ তম জাতীয় সম্মেলনে সংগঠনটির পদ-প্রত্যাশীদের বয়সসীমা নিয়ে আমাদের গঠনতন্ত্র ও মাননীয় জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই এবং এর বাইরে আমরা কোন সময়ে যায়নি বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ।
মাত্র কয়েকদিন পরেই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২৯ তম জাতীয় সম্মেলন। কিন্তু সংগঠনটির পদ-প্রত্যাশীরা এখনো জানেন না তাদের সাংগঠনিক বয়সসীমা ২৭ নাকি ২৯ বছর। এ নিয়ে দ্বিধায় রয়েছেন নতুন পুরান এক ঝাঁক পদপ্রত্যাশী। তবে নীতি নীতিনির্ধারক বলেছেন, বয়সসীমা কোন সমস্যা নেই আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসিলম হলে প্রতিষ্ঠিত হয় উপমহাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। সংগঠনটি গত ৭০ বছরে দেশের বিভিন্ন ক্রান্তিলগ্নে পালন করেছে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। কিন্তু গত কয়েক দশকে মারামারি হানাহানি থেকে শুরু করে টেন্ডারবাজি, হল দখলসহ জন্ম দিয়েছে নানা অনাকাঙ্খিত ঘটনার।
চলতি মাসের ১১ ও ১২ মে ২৯ তম সম্মেলন করতে যাচ্ছে সংগঠনটি। তবে এই সম্মেলনে নতুন নেতৃত্বের বয়স-সীমা কত তা এখনো জানেন না পদ-প্রত্যাশীরা। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রে ২৭ বছর বলা হলেও গত কমিটিতে ও ২৯ বছর পর্যন্ত বয়সসীমা দিয়েছিলেন দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
পদপ্রত্যাশী শাহেদ খান বলেন, নির্বাচনের পূর্ব মুহূর্তে অভিজ্ঞ কাউকে প্রয়োজন সেই ক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বয়স বাড়াতে পারবেন, কমাতেও পারবেন। আর এটা জননেত্রী শেখ হাসিনার ওপর নির্ভর করবে।
পদপ্রত্যাশী নাহিয়ান খান জয় বলেন, আমাদের অভিভাবক, জননেত্রী শেখ হাসিনা এটা কীভাবে দেখবেন, সেই দিক নির্দেশনার অপেক্ষায় আমরা আছি।
আওয়ামী লীগের সাংগঠিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, গঠনতন্ত্র অনুসরণ করে আগামী জাতীয় লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। তবে জননেত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিবেন, তার সিদ্ধান্ত সেখানে চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
এছাড়া একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের সহযোগী সংগঠনের নতুন নেতৃত্ব কতটা দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবেন, এ নিয়ে ও রয়েছেন নানা প্রশ্ন। তবে ছাত্রলীগের নেতারা বলছেন, এটি ছাত্রলীগের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ।