spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

বেড়েই চলেছে ডেঙ্গু রোগী ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত ২৪২৮ জন

spot_img

 

- Advertisement -

মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গু। আতঙ্কে মানুষ। কিছুদিন আগেও কেবল রাজধানী ঢাকায় সীমাবদ্ধ ছিল এডিস মশাবাহী ভাইরাস ডেঙ্গুর (ডেঙ্গি) আক্রমণ। এখন রাজধানী ঢাকা ও ঢাকার বাইরে দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে প্রায় সমান হারে ডেঙ্গু আক্রান্তের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এতো অধিক সংখ্যায় মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে তবু সরকার ডেঙ্গুর এ পরিস্থিতিকে মহামারী বলতে চায় না। সরকার বলছে এখনো নিয়ন্ত্রণে ডেঙ্গু। রাজধানীর চতুর্দিকে এতো মশা ! সে কারণে রাজধানীবাসী চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। কখন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে যায় সে ভয়ে প্রাত্যহিক কাজগুলোও ঠিক মতো করা হয়ে উঠে না।

আজ বুধবার, গত ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত হয়েছে দুই হাজার ৪২৮ জন। আগস্টের গত ৭ দিনেই ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৮৭৯। গত জানুয়ারি থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত সারা দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৩২ হাজার ৩৪০। এটা সরকারি হিসাব। যেসব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল স্বাস্থ্য অধিদফতরে দৈনিক ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা জানায় এটা সেই হিসাব। কিন্তু চিকিৎসকের প্রাইভেট চেম্বারের কত জন আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে এবং কতজন সুস্থ হয়েছে এর কোনো হিসাব নেই।

বুধবার পর্যন্ত সারাদেশে মৃত্যুর সংখ্যা ২৩ জন। আজ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তিন জন মারা গেছে। এর মধ্যে দু’জন মহিলা। সরকারি হিসেবে ২৩ মৃত্যুর কথা বলা হলেও কেবল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। ঢাকা মেডিকেলে বুধবার যে তিনজন মারা গেছে এরা হলো শরীয়তপুরের চরভানুকাঠি গ্রামের আমেনা বেগম (৬০), কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলার গজারিয়া গ্রামের আছিয়া বেগম (৩৯) এবং ঢাকার গার্মেন্টস ব্যবসায়ী আওলাদ হোসেন (৩২)।

ডেঙ্গু চিকিৎসায় চিকিৎসকদের আন্তরিক প্রচেষ্টার প্রশংসা করছেন সকলেই। চিকিৎসকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এতো আক্রান্তের মধ্যে মৃত্যু তুলনামূলক কম। তাসনুভা নামের ডেঙ্গু আক্রান্ত এক শিশু মা আয়িশা আব্দুল্লাহ জানিয়েছেন, আমার মেয়ে আল্লাহর রহমতে সুস্থ হয়ে গেছে। আমি চিকিৎসকদের আন্তরিক প্রচেষ্টার প্রশংসা করি। তাদের আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এতো ডেঙ্গু রোগী আসছে। এতো রোগী সামাল দেয়াটাই একটি চ্যালেঞ্জ। এতো কম রিসোর্স নিয়ে তারা যে ‘ব্যবস্থাপনা’ করছেন এর প্রশংসা করতেই হবে।

আয়িশা আব্দুল্লাহ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের হাসপাতাল এবং তাদের চিকিৎসা দেখার সৌভাগ্য আমারও হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের হাসপাতালের যে ধরনের রিসোর্স রয়েছে আমাদের সিকিভাগ নেই। এর মধ্যেই আমাদের চিকিৎসকেরা চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের স্টার হাসপাতালগুলোতে যাওয়ার ক্ষমতা আমার পরিবারের আছে। কিন্তু আমি ঢাকা মেডিক্যালে এসেছি। বলতে গেলে প্রায় বিনা খরচেই আমি এখান থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি যাচ্ছি। আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে এসেছি তাদের।

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ