spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

ন্যায়বিচার পাইনি, রায়ে আমরা ক্ষুব্ধ: খালেদা জিয়ার আইনজীবী

spot_img

 

- Advertisement -

প্রিয় সংবাদ ডেস্ক:: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ হওয়ায় ন্যায়বিচার পাননি বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন। তিনি বলেন, রায়ে আমরা ক্ষুব্ধ। জামিন আবেদনটি আদালতের বিবেচনায় নেয়া উচিত ছিল। আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত আমরা নেব।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন আবারও খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার বেলা ৩ টায় এ আদেশ দেন।

রায়ের পর তিনি বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় খালেদা জিয়াকে কারাগারে রাখা হয়েছে, গত দুই বছর ধরে। এটি মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা। এতে খালেদা জিয়ার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।

খালেদা জিয়াকে বেআইনিভাবে কারাগারে রাখা হয়েছে এটাকে ষড়যন্ত্র বলে আখ্যা দেন বিএনপির এই ভাইস-চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, সরকার খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক ভয় পায়। খালেদা আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে জামিনে আসুক, সরকার তা চায় না।

তিনি জানান, খালেদা জিয়া বলেছেন- আইন লড়াইয়ে জামিন পাওয়া আমার সাংবিধানিক অধিকার। আইনের প্রতি সম্মান রেখেই সে কারণে বারবার আমরা আদালতে আসি।

তিনি বলেন, এর আগেও আমরা সর্বোচ্চ আদালতের আপিল বিভাগে গিয়েছিলাম। কিন্তু বিএসএমএমইউ থেকে যে রিপোর্ট এসেছে, তা ছিল অসম্পূর্ণ। সেই রিপোর্টের ওপর নির্ভর করে সর্বোচ্চ আদালত একটা রায় দিয়েছিল।

‘খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। তিনি এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। কিন্তু এই হাসপাতাল থেকে কোনো নিরপেক্ষ প্রতিবেদন পাওয়া সম্ভব না।’

তিনি বলেন, বিএসএমএমইউ এমনভাবে রিপোর্ট দিচ্ছে, যাতে আদালত তা মানবিকভাবে দেখতে না পারেন। খালেদা জীবন এখন খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।

খালেদা জিয়ার সবশেষ স্বাস্থ্য প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে জামিন আবেদনের ওপর দেয়া আদেশে আদালত বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা তার মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে হবে। তার চিকিৎসা বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালেই হবে।

এর আগে বেলা ১১টায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় জামিন আবেদনের শুনানি শুরু হয়। এসময় কারাহেফাজতে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসনের সবশেষ স্বাস্থ্যগত অবস্থার প্রতিবেদন হাইকোর্ট বেঞ্চে দাখিল করা হয়।

এর পরই রিপোর্টটি আদালতে পড়ে শোনান বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। রিপোর্টে সাত সদস্যের মেডিকেল বোর্ড তাদের মতামত দিয়েছেন।

রিপোর্টে বলা হয়, খালেদা জিয়ার ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, অ্যাজমা, ব্যাকপেইন ও আর্থ্রাইটিজের সমস্যা রয়েছে। তবে ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কিন্তু আর্থ্রাইটিজ ও ব্যাকপেইনের চিকিৎসার জন্য যেসব মেডিসিন পুশ করা দরকার, যেই বেটার ট্রিটমেন্ট দরকার তার জন্য খালেদা জিয়া অনুমতি দেননি। এতে করে উন্নত চিকিৎসা দেয়া যাচ্ছে না। সূত্র:: যুগান্তর

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ