spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সবাইকে একসঙ্গে সংকট মোকাবেলা করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

spot_img

 

- Advertisement -

প্রিয় সংবাদ ডেস্ক :: বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস মহামারীকে একসঙ্গে মোকাবেলার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বর্তমান সংকট মোকাবেলায় জি সেভেন, জি টোয়েন্টি এবং ওইসিডির মত জোটগুলোর দিক থেকে দৃঢ ও পরিকল্পিত নেতৃত্ব এখন বিশ্বের প্রয়োজন। জাতিসংঘের নেতৃত্বে বহুপক্ষীয় ফোরামগুলোকেও এ বিষয়ে এগিয়ে আসতে হবে। বিশ্বের সবাইকে একসঙ্গে সংকট মোকাবেলা করতে হবে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরামের আয়োজনে ‘এনহ্যান্সিং রিজিওন্যাল কো-অপারেশন ইন সাউথ এশিয়া টু কমব্যাট কোভিড-১৯ রিলেটেড ইমপ্যাক্ট অন ইটস ইকোনোমিকস’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সম্মেলনে গণভবন থেকে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সরকার যে নীতি গ্রহণ করেছে, তার কেন্দ্রে রয়েছে দেশীয় চাহিদা বৃদ্ধি করে জিডিপি প্রবৃদ্ধির গতি ধরে রাখা, দারিদ্র্য বিমোচন এবং প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বৃদ্ধি।

আর করোনাভাইরাস মহামারীর অভিঘাতে দেশে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক ক্ষতি চারটি কার্যক্রম নিয়ে সরকারের কর্মপরিকল্পনা সাজানো হয়েছে।

এগুলো হল- সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি করা, আর্থিক সহায়তার প্যাকেজ, সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতা বৃদ্ধি করা এবং বাজারে মুদ্রা সরবরাহ বৃদ্ধি করা। কিন্তু বর্তমান জটিল পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে বিশ্বকে নতুন ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবতে হবে মন্তব্য করে পাঁচ দফা সুপারিশ তিনি সম্মেলনে তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, বর্তমান সংকটে সমাজে বিভিন্ন শ্রেণির মধ্যে বিদ্যমান বৈষম্য আর দারিদ্র্য দ্রুত বাড়তে থাকবে। গত এক দশকে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর অর্ধেককে দারিদ্রসীমা থেকে বের করে আনা সম্ভব হয়েছিল। তাদের অনেকেই হয়ত আবার দারিদ্র্যের কবলে পড়বে।

“সুতরাং বিশ্বকে এখন মানব কল্যাণ, বৈষম্য দূরীকরণ, দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করার বিষয়ে নতুন করে ভাবতে হবে। সেই সঙ্গে বিশ্বকে কোভিড পূর্ব অর্থনৈতিক অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করতে হবে।”

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্বজুড়ে সংক্রামক ব্যাধির ঝুঁকির বিষয়টি ২০২০ সালের গ্লোবাল রিস্ক রিপোর্টের অন্তর্ভুক্ত করায় ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী প্রধান ক্লাউস শোয়াবের প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, “সুতরাং ফোরাম এবং জাতিসংঘের এখন উচিত সকল রাষ্ট্র এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে নীতিনির্ধারণী আলোচনার সূত্রপাত করা। এ ধরনের যে কোনো উদ্যোগে আমি আনন্দের সঙ্গে যোগ দেব

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ