নতুন বছরে আসছে করোনার ‘অ্যান্টিবডি’ চিকিৎসা

 

- Advertisement -

প্রিয় সংবাদ ডেস্ক :: মহামারী করোনাভাইরাস রুখতে কার্যকর ভ্যাকসিন তৈরিতে দিনরাত এক করছেন বিশ্বের বিজ্ঞানীরা। চূড়ান্ত কিছু এখনও আবিষ্কার না হলেও কিছু সফলতা আশা জাগিয়েছে।

এবার ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, করোনা ঠেকাতে সক্ষম এমন একটি অ্যান্টিবডি চিকিৎসা পদ্ধতির বিকাশে সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন তারা। আগামী নতুন বছরেই এ চিকিৎসা আসছে। এ পদ্ধতিতে কৃত্রিমভাবে তৈরি অ্যান্টিবডি আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে প্রয়োগ করা হবে। এতে সংক্রমিত মানুষের জীবন রক্ষা হবে।

ব্রিটিশ-সুইডিশ ওষুধ প্রস্তুতকারী অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোম্পানির দাবি, সংক্রমণের প্রাথমিক পর্যায়ে এ চিকিৎসা দেয়া হলে তা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। খবর দ্য টেলিগ্রাফের।

অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রধান নির্বাহী প্যাসকেল সোরিয়েত বলেন, এ পদ্ধতিতে দুটি অ্যান্টিবডির সমন্বয় করে তা ইনজেকশনের মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রয়োগ করা হবে। কারণ শরীরে দুটি অ্যান্টিবডি নেয়া থাকলে তা একটি অ্যান্টিবডির বিরুদ্ধে পাল্টা প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।

টিকা উৎপাদনের চেয়ে অ্যান্টিবডি থেরাপি অনেক বেশি ব্যয়বহুল হবে বলে জানিয়েছেন সোরিয়েত। তিনি বলেন, বয়স্ক ও শারীরিকভাবে দুর্বল মানুষদের এ ধরনের থেরাপির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। কারণ তাদের শরীরে টিকা প্রয়োগ করে ভালো ফল না-ও পাওয়া যেতে পারে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুন) মহামারী মোকাবেলায় উদ্ভাবন প্রচেষ্টায় নিয়োজিত জোটের (সিইপিআই) সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা।

এছাড়া ভারতের টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সিরাম ইন্সটিটিউট অব ইন্ডিয়া অ্যান্টিবডি চিকিৎসা পদ্ধতির জন্য অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে অংশীদারি চুক্তি করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে টেলিগ্রাফ। ফলে করোনা ঠেকাতে ভিন্ন একটি চিকিৎসা পদ্ধতির উন্নয়নে তহবিল মিলতে যাচ্ছে।

সর্বশেষ