আ.লীগ নেতাকে বিবস্ত্র করে পেটালেন যুবলীগ সভাপতি!

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে নাছির উদ্দিন নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে বিবস্ত্র করে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মাইনুর ইসলাম রানার বিরুদ্ধে। ঘটনার ১০ দিন পর রানাসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে ভুক্তভোগী নাছির উদ্দিন মিরসরাই থানায় বুধবার রাতে একটি মামলা করেছেন।

- Advertisement -

মামলায় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মাইনুর ইসলাম রানাকে ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও ইমাম হোসেন শেখ, শাখাওয়াত হোসেন, সাঈদ হোসেন, সাইফুল ইসলাম, মিনহাজ উদ্দিন, আব্দুর রউফ, এমজাদ হোসেন আয়েচ, রাকিবুল ইসলাম, মেহেদী হাসান, নুরের ছাপাসহ অজ্ঞাত চার-পাঁচজনকে জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ নেতা নাছির উদ্দিনকে তাদের ওয়ারিশি সম্পত্তি মাইনুর ইসলামের কাছে বিক্রয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছে। তার প্রস্তাবে বারবার অনিহা প্রকাশ করায় গত ১৭ জুলাই দুপুরে মাইনুর ইসলামের নেতৃত্বে ১০-১২ জন যুবক হাদি ফকিরহাটে তার পথরোধ করে এবং অতর্কিত মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে তার হাত বেঁধে টেনে হিঁচড়ে বাজারের দক্ষিণ পাশে পরিত্যক্ত একটি স’মিলে নিয়ে আটকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে। এ সময় তারা তাকে বিবস্ত্র করে ফেলে। প্রায় ৪৫ মিনিট ব্যাপী তারা তার ওপর নির্যাতন চালায় এবং তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরে তার আর্তচিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এসে তাকে বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথম সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসা ও পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে মামলা করার বিষয়ে কিছুটা সময় নিয়েছেন বলে জানান ভুক্তভোগী আওয়ামী লীগ নেতা নাছির উদ্দিন।

যোগাযোগ করা হলে আওয়ামী লীগ নেতা নাছির উদ্দিন বলেন, রানার নেতৃত্বে সর্বপ্রথম আমার ওপর হামলা চালায়। এরপর আমার গায়ের শার্ট ছিড়ে ফেলে বিবস্ত্র করে আমাকে মারধর করে রানাসহ ১০-১২ জন যুবক।

উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মাইনুর ইসলাম রানার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে একাধিক বার ফোন দিলেও কল রিসিভ করেননি।

মিরসরাই থানার জেষ্ঠ্য উপ-পরিদর্শক রাজিব পোদ্দার জানান, নাছির উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি বুধবার রাতে মাইনুর ইসলাম রানাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছে। পুলিশ আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

সর্বশেষ