হত্যাকাণ্ডের ২৯ বছর পর রায়,ছয়জনের যাবজ্জীবন

যশোরের শার্শার বেনাপোল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) ও আওয়ামী লীগ নেতা শামসুর রহমানকে বোমা মেরে হত্যার মামলায় ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়।

- Advertisement -

১৯৯৩ সালের ৫ মে তাকে হত্যা করা হয়। অর্থাৎ ২৯ বছর পর এ হত্যাকাণ্ডের বিচার শেষে রায় ঘোষণা করা হলো।

রোববার (২৮ আগস্ট) যশোরের বিশেষ দায়রা জজ ও স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ শামছুল হক এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বেনাপোলের গাতিপাড়া গ্রামের ফজলে করিম ক্যানলার ছেলে রাইটার, রবিউল ইসলামের ছেলে মশিয়ার রহমান, দৌলতপুর গ্রামের মোন্তাজ আলীর ছেলে আজগর আলী, ভারতের ২৪পরগনার বনগ্রাম থানার ভরতপুর গ্রামের কারজেল মণ্ডলের ছেলে আব্দুস সাত্তার মণ্ডল, জিয়ালা গ্রামের কালিপদ সরকারের ছেলে সাধন সরকার, বাগদাহ থানার আমডোব গ্রামের মৃত আনু বিশ্বাসের ছেলে ইয়াকুব আলী।

যশোর বিশেষ দায়রা জজ ও স্পেশাল জজ আদালতের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট সাজ্জাদ মোস্তফা রাজা  এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৩ সালের ৫ মে মাগরিবের নামাজ পড়ে বেনাপোল ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা শামসুর রহমান মেম্বার বাড়ির বাংলো ঘরে বসে লোকজনের সঙ্গে কথা বলছিলেন। রাত পৌনে ৮টার দিকে আসামিরা শামসুর রহমানকে লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা নিক্ষেপ করে। বোমা বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় নিহতের ছেলে গিয়াসউদ্দিন বাদী হয়ে শার্শা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে ১৯৯৪ সালের ২৮ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মনোয়ার হোসেন।

দীর্ঘ সাক্ষগ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাদের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।

হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আসামি টিটু মিয়াকে খালাস দিয়েছেন বিচারক। সাজাপ্রাপ্ত মধ্যে রাইটার বাদে সব আসামি পলাতক।

সর্বশেষ