নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেছেন, ‘দেশের বিচার, প্রশাসন, রাজনীতি সব কিছুকে কলুষিত করে আওয়ামীলীগ দেশে সংঘাতের রাজনীতির জন্ম দিয়েছে। গত ১৭টি বছর তারা শুধু বিরোধী দল নয়, বিরোধী মতালম্বীদেরও খুন-গুম, হামলা- মামলা, দমন-নির্যাতন করে চরমভাবে অতিষ্ঠ করে তুলেছিল। মানুষের ভোটাধিকার, বাক- স্বাধীনতা, মানবাধিকার কেড়ে নিয়ে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে রেখেছিল। স্বৈরতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে আইন ও বিচার বিভাগকে হাতিয়ার এবং রাষ্ট্রীয় সংস্থাসমূহকে দলীয় লাঠিয়াল বাহিনীতে পরিণত করেছে। যার প্রতিচ্ছবি আমরাও কোটা সংস্কার আন্দোলনে দেখতেপেয়েছি। নিরীহ ছাত্রছাত্রী এবং সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে গুলি করে পাখীর মত হত্যা করা হয়েছে, যা সবধরণের বর্বরতাকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দের বাসভবন ও গাড়ীতে আগুন দিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে – যা তাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি। তিনি আরও বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। মানুষের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করে। গত ১৭বছর হামলা-মামলা কাঁধে নিয়ে আমরা রাজপথে অহিংস লড়াই করেছি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়- শুধুমাত্র জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য। আর সেটি হল- নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। একটি অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা। আমরা বিশ্বাস করি রাজনৈতিক
সৌহার্দ, সম্প্রীতি ও সহাবস্থান আমাদের জাতীয় অগ্রগতির অন্যতম মূল ভিত্তি। তাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য মানবিক সমাজ বিনির্মাণে সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ,সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক এরশাদ উল্লাহ গত ৩ আগষ্ট আওয়ামী সন্ত্রাসীদের ন্যাক্কারজনক হামলা ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্থ বাসভবন ও গাড়ি সহ অগ্নিসন্ত্রাসের প্রকৃত চিত্র পরিদর্শন কালে এসব কথা বলেন। এসময় তিনি আওয়ামী দুর্বৃত্তদের নারকীয় ধ্বংসাত্মক ঘটনার ভয়াবহতা স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সাবেক সদস্য নাজিম উদ্দিন আহমেদ, আনোয়ার হোসেন লিপু, মহানগর যুবদল নেতা আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।