চট্টগ্রামে বৃষ্টিহীন জোয়ারের পানিতে নিম্মাঞ্চল প্লাবিত

মো.মুক্তার হোসেন বাবু : চট্টগ্রাম মহানগরীতে বৃষ্টিহীন জোয়ারের পানিতে কিছু কিছু নিচু এলাকায় প্লাবিত হয়েছে। গতকাল রোববার হালিশহর থানাধীন শান্তিবাগ আবাসিক এলাকায়, পাঁচলাইশ থানাধীন পাঁচলাইশে হাজী চাঁন মিয়া সড়ক-উপসড়ক, ডবলমুরিং থানাধীন আগ্রাবাদ ও কোতোয়ালী থানাধীন দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জসহ কয়েকটিস্থানে জোয়ারের পানি উঠে দূর্ভোগ পোহাতে দেখা গেছে ব্যবসায়ী এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের।
জানা গেছে, গতকাল রোববার বেলা আড়াইটায় পাঁচলাইশ থানাধীন ৭ নং পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ড হাজী চাঁন মিয়া সড়ক-উপসড়কগুলোতে আকস্মিক জোয়ারের হাঁটু পানিতে ডুবে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বৃষ্টিহীন জোয়ারের পানিতে জরাজীর্ণ এ সড়কে হাঁটু পানিতে নিমোজিত। তবে এই জোয়ারের পানি এক ঘন্টা পর নিস্কাশন হলেও পানি আর কাদাতে চলাচলে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মহল্লা কমিটি ও ওয়ার্ড আ’লীগ সভাপতি আবুল কালাম সর্দার বলেন, জরাজীর্ণ হাজী চাঁন মিয়া সড়কে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ অনেক দূর্ভোগের মাঝে যাতায়ত করে। সড়কের পাশে যে খালটি রয়েছে দীর্ঘদিন খনন না হওয়ায় সড়কে বৃষ্টি ও জোয়োরে পানি উঠে জনসাধারণের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা চলাচলে সীমাহীন দূর্ভোগে পড়ে। এলাকাবাসী এবার পানিবন্দী হয়ে ঈদআনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। অনেক রোগী হাসপাতালে নেয়ার সময় অবস্থা আরো সংকটাপন্ন হয়ে উঠে। খতিবের হাট, হাদুমাঝিপাড়া, সামসের পাড়া, মেডিকেল কলেজের জন্য পরিচিত পাওয়া সত্বেও খাল ও সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলেই দূর্ভোগের শেষ থাকেনা। এখন বৃষ্টি ছাড়া জোয়ারের পানিতে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তিনি বলেন, সড়কে নামমাত্র যে ক’টি ড্রেন আছে সেগুলো বর্জ্য আবর্জনায় পানি নিস্কাশনে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এছাড়া প্রভাবশালী মহল খাল ও রাস্তার পাশে ভবন নির্মানের কারনে জলাবদ্ধতায় দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে বাসিন্দারা। তিনি জনদূর্ভোগ কমাতে টেকসইভাবে সড়ক ও খালটি সংস্কারে মেয়র ও কাউন্সিলরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এদিকে আকস্মিক জোয়ারে হাঁটুপানি জমে গেছে আগ্রাবাদ, হালিশহরসহ নগরীর নিম্নাঞ্চলে। বেলা পৌনে তিনটায় হোটেল আগ্রাবাদের সামনের সড়কে দেখা যায় হাঁটুপানি। আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক, বেপারিপাড়া, এক্সেস রোড, শান্তিবাগ আবাসিক এলাকায়ও ছিল হাঁটুপানি। এ সময় দুর্ভোগে পড়েন নারী-শিশু-বৃদ্ধসহ পথচারীরা। তবে এক ঘন্টা পর পানি আবার চলে যায়। এছাড়া দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের প্রধান সড়কে হাঁটুপানি জমে গেছে। পানি ঢুকে পড়ে নিচু বিপণিকেন্দ্র ও আড়তগুলোতে। বেলা আড়াইটা থেকে জোয়ারের পানি সড়কে উঠতে শুরু করে। দেখতে দেখতে তা হাঁটু ছাড়িয়ে যায়। এ সময় দোকানি ও আড়তদারেরা বেচাকেনার চেয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন গদি সামলাতে। পণ্যসামগ্রী পানি থেকে বাঁচাতে। হামিদ উল্লাহ খান মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস জানান, জোয়ারের পানিতে ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা নেমে এসেছে। ক্রেতারা আসতে পারছেন না। পণ্য পরিবহনও সম্ভব হচ্ছে না।

সর্বশেষ