মো.মোক্তার হোসেন বাবু : চট্টগ্রামে দেশী পেঁয়াজের সরবরাহ কম থাকায় আমদানিকৃত পেঁয়াজের নির্ভরতায় দাম বেড়ে গেছে। দেশের ভোগ্যপণ্যের অন্যতম বৃহত্তম পাইকারি বাজার খ্যাত খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের দাম ওঠানামা করছে প্রতিনিয়ত। এর ফলে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১২ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে গেছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশের বাজারের অধিকাংশ চাহিদা দেশি পেঁয়াজ পূরণ করছিল এতদিন। তবে এখন দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কমেছে। এজন্য বাজার এখন নির্ভর করবে আমদানি করা পেঁয়াজের ওপর। এজন্য ক্রেতারা দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কমায় আমদানি স্বাভাবিক রাখার দাবি জানিয়েছেন। বহদ্দারহাট কাঁচাবাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সরবরাহ কম-অজুহাতে কয়েকদিনের ব্যবধানে প্রতি কেজিতেই পেঁয়াজ ৩০-৪০ টাকা বেড়ে গিয়েছিল। ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির খবরে তা এখন অর্ধেকে নেমে এসেছে। এখন যেহেতু দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কম, সেজন্য আমাদের আশা থাকবে সরকার আমদানি স্বাভাবিক রাখবে। যাতে আরও কম দামে আমরা পেঁয়াজ কিনতে পারি।
জানা গেছে, প্রায় পাঁচ মাস পর দেশের স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয় গত সপ্তাহে। এই খবরে এক মাস ধরে দেশের বাজারে বাড়তে থাকা পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করে। খাতুনগঞ্জেও সেটির প্রভাব পড়ে। এই বাজারে আগের সপ্তাহে যে পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৮৫ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল সেই পেঁয়াজের দাম ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় নেমে আসে। তবে এখন প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে ১২ থেকে ১৫ টাকা।
খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা জানান, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে প্রতি কেজিতে প্রায় ২০ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছিল। কিন্তু পেঁয়াজের গাড়ি সীমান্ত হয়ে আর প্রবেশ করছে না এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে আবারও কিছুটা দাম বেড়ে যায়। চট্টগ্রামের বাজারে গত চার-পাঁচ মাস ভারতীয় পেঁয়াজ দেখা যায়নি। এই সময়ে চাহিদার প্রায় পুরোটাই মিটিয়েছে দেশি পেঁয়াজ। তবে বাজারে এই পেঁয়াজের সরবরাহ কমতে শুরু করলে এখন খুচরাবাজার থেকে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৯০-১০০ টাকা পর্যন্ত দামে কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।