ডেস্ক রিপোর্ট: স্বাধীন সাংবাদিকতায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বড় ধরনের অন্তরায় হতে পারে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা বাধাগ্রস্ত হয় এমন কোন আইন সাংবাদিকরা মেনে নিতে পারে না। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আলাপকালে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শাবান মাহমুদ আমাদের নতুন সময়কে একথা বলেন।
তিনি বলেন, এ আইন করার আগে সাংবাদিক নেতাদের কাছ থেকে যে সুপারিশ নেয়া হয়েছিল তার কোনটাই গ্রহণ করা হয়নি। আমরা অপসাংবাদিকতাকে তথা হলুদ সাংবাদিকতাকে সমর্থন করিনা। সাংবাদিকতার নীতিমালা লঙ্ঘন করে কেউ অস্থিরতা তৈরি করুক সেটি আমরা চাইনা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দায়বদ্ধতা থাকাটা উচিৎ বলে আমরা মনে করি। তবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৫৭ ধারার আদলে ৩২ ধারায় যেটি বলা হয়েছে, তা কখনো মুক্ত সাংবাদিকতার অনুকূল নয়। আমরা এই আইনের সংশোধন চাই। যদি তা না হয় তাহলে সাংবাদিক সমাজ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে কঠিন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।
তিনি আরও বলেন, সুষ্ঠু ও মুক্ত সমাজের পরিপন্থী একটি আইন পাস করা হলো। এতে আমরা সবাই কিন্তু ক্ষতিগ্রস্থ হবো। সরকার ভাবছে কালো আইন হবে না। কিন্তু এমন একটা আইন করে সরকার লাভবান হবে বলে আমার মনে হয় না। আমরা সাংবাদিকরা তো লাভবান হবই না, সাধারণভাবে গণতান্ত্রিক পরিবেশ কলুষিত হবে, গণতান্ত্রিক বিকাশ ক্ষতিগ্রস্থ হবে। তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকতা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আসছে এবং সেই পুলিশকে ধারা ৪৩-এ এই অধিকারও দেওয়া হচ্ছে যে পরোয়ানা ব্যতীত তল্লাশি, জব্দ ও গ্রেফতার করা যাবে। তাহলে একদিকে একটা অফিশিয়াল সিক্রেসি আইন আছে, অন্যদিকে আপনি পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ দিচ্ছেন এবং অধিকার দিচ্ছেন পরোয়ানা ব্যতিরেকে গ্রেফতার করার।