প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা : রিজভী

ডেস্ক রিপোর্ট: সরকার ২১শে আগস্ট বোমা হামলায় হীন উদ্দেশ্যসাধনের জন্য প্রতিহিংসার মনোভাব নিয়েই মাঠে নেমেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

- Advertisement -

তিনি আজ বৃহস্পতিবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘তারেক রহমানকে ফাঁসাতেই হবে’ এই প্রতিহিংসা চরিতার্থের জন্যই ক্ষমতা হাতে পেয়েই বেছে আনা হয় অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগ নেতা কাহার আকন্দকে। তাকে দিয়ে তারেক রহমানের নাম বোমা হামলায় জড়ানো হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে এক কথা বলেন, বিদেশে বলেন অন্য কথা। নিউইয়র্কে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেছেন- সব দলের অংশগ্রহণে বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে সরকার। আসলে প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা। কারণ এখনো পর্যন্ত আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সরকারের সকল পদক্ষেপ একতরফা নির্বাচনেরই আলামত। কিন্তু এবার আর একতরফা নির্বাচন করার সুযোগ পাবেন না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মুখে মধু ও অন্তরে বিষ নিয়েই তিনি বিদেশীদের সাথে কথা বলেন।

বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে ফেলা সরকার গুম, বেআইনী হত্যা, নির্দোষ মানুষদের গ্রেফতার ও মামলা দিয়ে হয়রানীর কোনো কিছুই বাদ দিচ্ছে না। এরা মানুষের মানবাধিকারকে পায়ে দলতে যে দ্বিধা করে না, তার বহু তথ্য সাবেক প্রধান বিচারপতির লেখা বই থেকে পাওয়া যাচ্ছে। সাগর-রুনী হত্যার এখনও কুল-কিনারা করতে পারেনি, অথচ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে- এস কে সিনহা একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন- সাগর-রুনী হত্যার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী জানেন। আসলে অনাচারের ‘প্যান্ডোরার বাক্স’ খুলে যাওয়াতে সরকার এখন দিশেহারা। সরকার ক্ষমতার উন্মাদনা মধ্যে থাকতে চায়, এজন্য যখন যেটা প্রয়োজন অর্থাৎ গুম, খুন থেকে শুরু করে মিথ্যা মামলায় বিরোধী নেতাদের ফাঁসাতে দ্বিধা করছে না। কারণ রাষ্ট্রযন্ত্র তাদের হাতের মুঠোয়। আর এই রাষ্ট্রযন্ত্রকে দিয়েই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বোমা হামলার মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে বিরোধী দল ও মতকে নির্মূলের চূড়ান্ত সীমায় উপনীত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। এসময় দলের কেন্দ্রীয় নেতা আহমেদ আযম খান, ফজলুল হক মিলন, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, এ বি এম মোশাররফ হোসেন, আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘শত চেষ্টা করেও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ২১শে আগস্ট বোমা হামলা মামলায় জড়াতে পারেনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর আন্দোলনের ফসলরা। তাদের সময় আদালত চার্জশিট একসেপ্ট করে ৬১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। কেউই তারেক রহমানের কথা বলেনি। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর শেখ হাসিনার মনপছন্দ কাহার আকন্দ কেরামতি দেখাতে শুরু করে মামলাটি পুনঃতদন্তের নামে বিচারিক আদালত থেকে ফিরিয়ে এনে এক নজীরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। উদ্দেশ্য একটাই তারেক রহমানকে মামলায় জড়ানো।’

তিনি বলেন, ‘অত্যাচার, নিষ্ঠুর পীড়ণের মাধ্যমে একমাত্র যার জবানবন্দীর ওপর ভিত্তি করে তারেক রহমানকে অভিযুক্ত করা হয়, সেটি ছিল মুফতি হান্নানের। কাহার আকন্দের তদন্ত চলাকালীন ২০১১ এর ৭ই এপ্রিল মুফতি হান্নানকে দিয়ে বলানো হয়, সে-ই হামলাকারীদের সাথে তারেক রহমান সাহেবের সংযোগ ঘটিয়ে দিয়েছিল! ইত্যাদি। মূলত: এর উপর ভিত্তি করেই সাাজনো চার্জশিটের কারিগর কাহার তার ‘চার্জশিট প্রহসন’ রচনা করে তা আদালতে দাখিল করে।’

সর্বশেষ