spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

শেরপুরে স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে : ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

spot_img

 

- Advertisement -

ডেস্ক রিপোর্ট: শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার বাকাকুড়া গ্রামে ৫ম শ্রেণির ছাত্রী বিনা আক্তারকে (১৫) ডেকে নিয়ে গণধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে আমানুল্লা (২৫), নূরে আলম (৩০) ও কালু মিয়া (৩২) নামে তিন ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো: আখতারুজ্জামান আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ দ-াদেশ দেন। একইসাথে আদালত আসামিদের এক লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের আদেশ দেন। তবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর তিন আসামিকে আদালত খালাস প্রদান করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আমানুল্লা, নূরে আলম ও কালু মিয়া ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের বাকাকুড়া গ্রামের যথাক্রমে ফজল হক, হাবিবুর রহমান ও মৃত মজিবর রহমানের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আমানুল্লা ও নূরে আলম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে বৃহস্পতিবার বিকেলে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত কালু মিয়া ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে।

আদালত সূত্রে মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৯ জুলাই রাত ৮টার দিকে বিনা অক্তারকে বাকাকুড়া গ্রামের নানী বাড়ি থেকে আসামি কালু মিয়া ডেকে নিয়ে যায় এবং অপরাপর আসামিদের হাতে তুলে দেয়। পরে সবাই মিলে ধর্ষণ শেষে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। ২১ জুলাই বিনার লাশ বাকাকুড়া এতিমখানার পশ্চিম পাশের শিলঝোড়া খাল থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ২১ জুলাই ছাত্রীটির মা সবুজা খাতুন বাদী হয়ে আমানুল্লা, নূরে আলম, কালু মিয়া, হারুনুর রশিদ, সুন্দরী বেগম, আনোয়ার হোসেন আনু ও বাবুল মিয়ার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ঝিনাইগাতী থানায় মামলা দায়ের করেন।

পরে মামলার তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ২০ অক্টোবর ঝিনাইগাতী থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল করিম আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানী ও সাক্ষ্যপ্রমাণ বিশ্লেষণ শেষে আদালত আজ বৃহস্পতিবার উপরোক্ত দ-াদেশ প্রদান করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে সরকারী কৌঁসুলি (পিপি) মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া ও আসামিপক্ষে হরিদাস কর্মকার স্বপন এবং নূরে আলম হীরা মামলাটি পরিচালনা করেন। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে পিপি গোলাম কিবরিয়া বলেন, তারা ন্যায়বিচার পেয়েছেন। অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী হরিদাস কর্মকার স্বপন বলেন, বিচার সঠিক হয়নি। এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে আপীল করবেন।

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ