সৈয়দ আশরাফের মনোনয়নের বৈধতা নিয়ে তোলপাড়

 

- Advertisement -

আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মনোনয়নপত্রের বৈধতা নিয়ে কিশোরগঞ্জেও তোলপাড় শুরু হয়েছে। রোববার থেকে শহরের অলিগলি চায়ের স্টল জনসমাগম স্থলে এ নিয়েই শুধু এখন আলোচনা।

সারাদেশে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়ন যাচাই-বাচাই করা হয় মঙ্গলবার। এ সময় মনোনয়নপত্রে নানা ত্রুটি ও আইনি কারণের কথা উল্লেখ করে ঐক্যফ্রন্টের ৮০ জনের মতো প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।

এর মধ্যে কিশোরগঞ্জ জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী বিভিন্ন ছুতোয় কিশোরগঞ্জ-২ আসনের বিএনপি প্রার্থী মেজর (অব:) আখতারুজ্জামান রঞ্জন, কিশোরগঞ্জ-৩ আসনের বিএনপি প্রার্থী সাইফুল ইসলাম সুমন, কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের বিএনপির প্রার্থী সুরঞ্জন ঘোষ, কিশোরগঞ্জ-১ আসনের বিএনপির প্রার্থী অ্যাডভোকেট শরিফুল ইসলাম ও খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেলের মনোনয়নসহ জেলার ৬টি আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী ও অন্যান্য দলের মিলিয়ে মোট ২১ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।

কিশোরগঞ্জ-১ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মনোনয়নপত্র ও তার হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকলেও রিটার্নিং কর্মকর্তা সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী তাঁর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন। এ সময় সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মনোনয়নপত্র যথাযথ আইন মেনে দাখিল করা হয়নি এ অভিযোগ এনে তার মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করার দাবি জানান এ আসনের বিএনপির মনোনয়ন বৈধ ঘোষিত প্রার্থী ঢাকা বিভাগীয় সাবেক স্পেশাল জজ রেজাউল করিম খান চুন্নু।

রোববার জেলার প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় রেজাউল করিম খান চুন্নু কিশোরগঞ্জের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরীর কাছে এ দাবি জানান।

তবে রিটার্নিং কর্মকর্তা চুন্নুর অভিযোগ আমলে না নিয়ে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মনোনয়নপত্রটি বৈধ ঘোষণা করেন। একই আসনে আওয়ামী লীগের অপর প্রার্থী কৃষিবিদ মশিউর রহমান হুমায়ুনের মনোনয়নপত্রটিও বৈধ ঘোষণা করা হয়। ফলে কিশোরগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের ২ প্রার্থীর মনোনয়নই বৈধ থেকে যায়।

রেজাউল করিম খান চুন্নুর দাবি ছিল, মনোনয়নপত্রে সৈয়দ আশরাফের স্বাক্ষর ছিল না। মনোনয়নপত্রে তাঁর টিপসই দেয়া হয়েছে। তিনি অসুস্থ। অচেতন অবস্থায় থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন। চুন্নুর দাবি, কেউ বিদেশে অবস্থান করলে তাঁর স্বাক্ষর অথবা টিপসই সংশ্লিষ্ট দেশে বাংলাদেশ অ্যাম্বেসির একজন ফার্স্ট সেক্রেটারি কর্তৃক সত্যায়িত করতে হবে।

এর মর্যাদা হবে প্রথম শ্রেণির একজন ম্যাজিস্ট্রেটের সমমানের। সৈয়দ আশরাফের মনোনয়নপত্র এ ধরনের কর্মকর্তার দ্বারা সত্যায়িত হয়নি। তাঁর মনোনয়নপত্র বাংলাদেশে নোটারি করা হয়েছে। এটি আইনসিদ্ধ নয়। সৈয়দ আশরাফের নামে নির্বাচনী কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই, যেখান থেকে নির্বাচনী খরচ চালানো হবে। তাহলে সৈয়দ আশরাফের মনোনয়নপত্র বৈধ হলো কীভাবে?

সর্বশেষ