প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, নির্বাচনের আগে বিএনপি নেতারা গর্ত থেকে বেরিয়ে আসছে। তারা নির্বাচনে অংশ নেবে, এদের এদের জায়গা তো ফাঁসিকাষ্ঠে।
‘বিএনপি নেতাকর্মীরা ২০১৩ ও ২০১৫ সাল পর্যন্ত কয়েক হাজার আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটিয়েছে। শত শত নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে, আহত করেছে হাজার হাজার নারী-পুরুষ-শিশুকে। এসব ঘটনার পেছনে চিহ্নিত বেশির ভাগ লোকেরাই এতদিন লুকিয়ে ছিল অথবা দেশের বাইরে পালিয়েছিল’, বলেন তিনি।
সজিব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘এখন নির্বাচনের আগে তারা (বিএনপি নেতারা) গর্ত থেকে বেরিয়ে আসছে, এমনকি নির্বাচনেও অংশ নিচ্ছে। এদের নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কি করা উচিত? সামনে নির্বাচন বলে তাদের আইনের আওতায় আনা যাবে না? এদের জায়গা তো জেলখানাও নয়, এদের জায়গা ফাঁসিকাষ্ঠে।’
সোমবার সজিব ওয়াজেদ জয় তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পৃথকভাবে বাংলা ও ইংরেজিতে দেয়া এক পোস্টে এসব কথা বলেন।
তিনি ওই পোস্টে আরও লেখেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নির্বাচন কমিশনকে নিয়ে একের পর এক অভিযোগ করেই যাচ্ছে বিএনপি। প্রথমে তারা অভিযোগ করলো গ্রেপ্তার নিয়ে। এখন বিএনপি তাদের মনোনীত প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল নিয়ে অভিযোগ করছে।
জয় বলেন, বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভাইস চেয়ারপার্সন দুজনেই আদালতে সাজাপ্রাপ্ত। তারেক, একজন পলাতক আসামি এবং হত্যা ও সন্ত্রাসের দায়ে অভিযুক্ত; লন্ডনে বসে তার দলের প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন। একজন পলাতক খুনীর হাতে নির্বাচিত প্রার্থী আর কেমনই বা হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, বিএনপির বেশিরভাগ প্রার্থীই হয় অপরাধী, না হয় দুর্নীতিগ্রস্ত। ঋণখেলাপী, দুর্নীতি এমনকি তাদের নামে হত্যা মামলাও আছে। যেমন আবুল কালাম মোহাম্মদ রিয়াজুল করিম, যিনি পিরোজপুর থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন, ব্রিটিশ আদালতের চিহ্নিত ফেরারি আসামি!
‘নির্বাচন কমিশনের কি আসলেই উচিত ছিল এসব চিহ্নিত ফেরারি আসামি, ঋণখেলাপীদের নির্বাচন করতে দেওয়া’ প্রশ্ন রাখেন তিনি।
জয় তার ফেসবুক পোস্টে আরও উল্লেখ করেন, বিএনপি মোট আসনের দ্বিগুন প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছে, প্রতিটি আসনে কমপক্ষে দুজনকে মনোনয়ন দিয়েছে তারা। কারন তারা জানে তাদের বেশির ভাগ প্রার্থীই হয় কোনো মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি, না হয় ঋণখেলাপী এবং এরা নির্বাচনের অযোগ্য। এখন তারা নির্বাচন কমিশনকে কলংকিত করতে এটাকে ব্যবহার করছে।
জয় বলেন, আসল কথা হচ্ছে, বিএনপি’র ৩০০ জন যোগ্য প্রার্থী নেই, যাদের তারা মনোনয়ন দিতে পারে। তারা শেষ যেবার ক্ষমতায় ছিল সেটি ছিল দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সহিংস এবং দুর্নীতিপরায়ন সরকার। অবশ্য, তখন তাদের সারা পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার হিসেবে কুখ্যাতিও ছিল।
নিজ দলের প্রার্থী বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, যেসব প্রার্থীর দুর্নাম আছে, আইনি অভিযোগ আছে মাত্র, এমন প্রার্থীদের বাদ দিয়েছে আওয়ামী লীগ। শুধুমাত্র জনমতের কারণে, যেসব বর্তমান সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অভিযোগ আছে আদালতে তা খারিজ হয়ে গেলেও আওয়ামী লীগ এমন প্রার্থীদেরও মনোনয়ন দেয়নি।
‘মানুষের জন্য কাজ করে যে দল, তাদের পক্ষেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব’, বলেন জয়।-ইউএনবি নিউজ