বিএনপির সহ আন্তর্জাতিক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, আমরা নাকি হ্যাঁ না ভোটের মাধ্যমে এদেশে রাজনীতিতে এসেছি। কিন্তু যারা একথা বলছে তারা ভুলে গেছে, এই হ্যাঁ না ভোটের মাধ্যমে দলটি এদেশে রাজনীতি করছে, তারাই দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র দিয়েছে দেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দিয়েছে। আজ যারা ক্ষমতায় তাদের রাজনীতি করতে, এই জাতীয়তাবাদী দলই দিয়েছে। শনিবার সময় টেলিভিশনের সম্পাদকীয় অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
রুমিন ফারহানার বলেন, বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে কিছুদিন আগে সরকারের এক নীতিনির্ধারণী একজন এসেছিলেন আল জাজিরা টেলিভিশনে এসে বাংলাদেশের মানবাধিকার, নির্বাচন, গণতন্ত্র, সংসদ নির্বাচন নিয়ে দেশের মানুষ কী ভাবছে আলাপ হয়েছে। সরকারের সেই নীতিনির্ধারক কী উত্তর দিয়েছেন আমরা দেখেছি। বাংলাদেশে যেকোন উপায়ে সংসদে যাওয়ার প্রচলন চালু হয়ে গেছে, কোন রকম জোড়াতালি দিয়ে চলছে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা। বাংলাদেশে ইলেকশন বলতে কিছু হচ্ছে না, ইলেকশন ব্যবস্থা থেকে উঠে গেছে।
তিনি বলেন, দেশে জাতীয় নির্বাচনের পর ঢাক সিটি নির্বাচন সেখানে কোন জনগণের উপস্থিতি ছিলো না। জনগণ এখন নির্বাচনে ছুটিতে তাদের ফেলে রাখা কাজগুলো করে। জনগণ ভোট কেন্দ্রে যায় না তারা জানে তাদের দেয়া ভোট কোন কল্যাণ বয়ে আনবে না। আমরা দলগতভাবে, জোটগত এবং বিদেশী বন্ধুদের সাথে আলাপ করে, এটাই বুঝতে পেরেছি দেশে ২৯ ডিসেম্বর প্রশাসনের সহায়তায় রাতে যে নির্বাচন হলো, সেটা কোন নির্বাচনই না। সেই নির্বাচনের ফলে গঠিত যে সংসদ তার কী মূল্য আছে। সেই সংসদে আমাদের কোন সদস্য শপথ নেয়ার কোন প্রশ্নই আসে না। আমাদের সবার কথাই এক রকম, কোন দ্বিধা দ্বন্দ্ব নেই আমাদের মধ্যে।
তিনি বলেন, আমাদের যে কয়জন নির্বাচিত করা হয়েছে, সেখানেও প্রশ্ন থেকে যায় তারা কী সত্যি নির্বাচিত হয়েছেন। এই প্রশ্ন এখন আমরা দলীয় ফোরামে আলাপ করছি। জাতীয় নির্বাচনের এই রকম ভোট চুরির উৎসব করার পর, দেশের মানুষ এখন নির্বাচন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন, ঢাকা উত্তরের নির্বাচন দেখলে আমরা বুঝতে পারি। মানুষ নির্বাচকে এটা ছুটির দিন হিসেবে নেয় নিজের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকে।