চট্টগ্রামে খালের ওপর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে সেনাবাহিনী

 

- Advertisement -

তৌহিদুর রহমান : চট্টগ্রাম মহানগরীতে খালের ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে নেমেছে সেনাবাহিনী। জলাবদ্ধতা নিরসনে ‘মেগা প্রকল্প’ বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহায়তায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) স্পেশাল মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাইফুল আলম চৌধুরী এ অভিযান পরিচালনা করেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার নগরের চান্দগাঁও থানাধীন পাঠানিয়া গোদা এলাকায় ডোমখালী খালের এলাকায় ওপর গড়ে ওঠা এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে শুরু হয়েছে।
চউক এর নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক আহমেদ মাঈনুদ্দিন বলেন, ডোমখালী খালে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে নগরের ১৩টি খালের ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। ইতোমধ্যে ৩টি খালে উচ্ছেদ করা হয়েছে।

চউক সূত্রে জানা গেছে, ডোমখালী খালটির দৈর্ঘ্য ৫ দশমিক ২৪ কিলোমিটার। বিএস খতিয়ান অনুযায়ী খালের ৭ দশমিক ৮৩৫ একর জায়গা বেদখল। খালটির ওপর অবৈধ স্থাপনা ১১৫টি। এর আগে রাজখালী খাল-২, নোয়াখাল ও চাক্তাই খালে উচ্ছেদ করা হয়। ২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে গৃহীত মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে সিডিএর সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এরপর সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর খালের উভয় পাশে রিটেইনিং ওয়াল, রাস্তা নির্মাণ ও নিচু ব্রিজগুলো ভেঙে উঁচু করার কাজ শুরু করে। পাশাপাশি খাল থেকে ময়লা পরিষ্কার কার্যক্রমও শুরু হয়। ডিপিপি অনুযায়ী গৃহীত এ মেগা প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৫ হাজার ৬১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। তিন বছর মেয়াদি এ প্রকল্পে প্রাথমিক পর্যায়ে ২০১৮ সালে ৩৬ খালের মাটি অপসারণসহ ৩০০ কিলোমিটার নতুন ড্রেন নির্মাণ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া প্রকল্পের আওতায় নতুন করে ১০০ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ, ২০২০ সালের মধ্যে নগরে ৩৬টি খাল খনন, খালের পাশে ১৭৬ কিলোমিটার প্রতিরোধক দেয়াল, ৮৫ কিলোমিটার সড়ক, ৪২টি সিল্ট ট্যাপ নানা অবকাঠামো নির্মাণ করার কথা রয়েছে।

সর্বশেষ