“ধর্ষণের জন্য আর কোন মেয়ের বাবা-মাকে যেন চেখের পানি ফেলতে না হয়”

 

- Advertisement -

সিরাজুল আলম টিপু : আজ আমাদের মেয়েরা নিজ ঘরেও নিরাপদ নয়। পারিবারিক সম্পর্ক আজ কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বাস কোথায় স্থাপন করবো। গত ১৯ জুলাই গভীর রাতে শয়ন কক্ষে আমার মেয়েকে না পেয়ে আশপাশের লোকের সহযোগিতায় আমার ঘরের পাশে আমার চাচাত ভাই নুরুল আমিন এর বসত ঘরের মাঝখানে ফাঁকা জায়গায় আমার মেয়েকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখি। তখন আসামী আরমান দৌড়ে পালিয়ে যায়। আজ সকালে জানতে পারি ,র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ১নং আসামী আরমান মারা যায়। কিন্ত আমি ও আমার পরিবার প্রতিনিয়ত হুমকী-ধমকীর সম্মুখীন হচ্ছি। একজন কিশোরী ধর্ষিতার বাবা হয়ে আমার মনের অবস্থা কি হতে পারে আপনারা বুঝতে পারছেন। বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ,কিন্তু সেই স্বাধীনতা কি আমরা পাচ্ছি। বাংলাদেশে যে হারে ধর্ষণের প্রবণতা বেড়েছে, ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমুলক বিচার হচ্ছে না। বিচার হলেও তারা জামিনে বেরিয়ে আসছে। স্বাধীন দেশে এ ধরনের ঘটনা কারো কাম্য হতে পারে না। আজ সংবাদ সম্মেলন করছি এই জন্য যে,আমার মেয়ে তো ধর্ষিত হয়েছে ,আরো কারো মেয়ে যেন ধর্ষনের শিকার না হয়, কোন মা-বাবাকে যেন আর চোখের পানি ফেলতে না হয়। ধর্ষকদের ক্রসফায়ার দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করার দাবী জানাচ্ছি। আজ আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি এইজন্য যে,ফেনীর নুসরাত হত্যাকান্ড একমাত্র সাংবাদিকদের লেখনীর কারণে অপরাধীদের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে এবং বিচার কার্যক্রম চলছে। ৩০ জুলাই চট্টগ্রামের এস রহমান হল মিলনায়তনে বিকাল ৩টায় পটিয়া উপজেলার মালিয়ারা মহিরা মহিরাহিখাইন উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণের বিচারের দাবিতে ও ধর্ষিতার পরিবারের নিরাপত্তার জন্য আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। সাংবাদিক সম্মেলনে ধর্ষিতার বাবার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন স্বীকৃতি এনজিওর নির্বাহী পরিচালক পারভীন আক্তার। লিখিত বক্তব্য পাঠকালে ধর্ষিতার বাবা মোঃ জসিম কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,আমাদের হুমকী ধমকীর বিষয়টি থানায় জানিয়েছি। থানা পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ধর্ষিতার পিতা মোঃ জসিম,ফুফী দিলরুবা আক্তার,খালা তাসু আক্তার,শামসুল আক্তার,সেয়দ মিজান উল্লাহ সমরসহ আরো অনেকে।

সর্বশেষ