সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার এবারের ঈদ কাটলো কারা হেফাজতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের কেবিনে।
এ বছরের দুটি ঈদসহ এ নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো বন্দী অবস্থায় ঈদ কাটালেন বিএনপি নেত্রী। একজন ডিভিশনপ্রাপ্ত (বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত) বন্দি হিসেবে ঈদের দিন হাসপাতালে খালেদা জিয়ার জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করেছে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ।
খালেদা জিয়ার দাঁতে সমস্যা থাকায় তার জন্য মাংস অপেক্ষাকৃত নরম করে রান্না করা হয়। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্র জানিয়েছে, ঈদের দিন সকালে বিএসএমএমইউর ৬২১ নম্বর কেবিনে খালেদা জিয়ার জন্য পায়েস, সেমাই আর মুড়ি দেয়া হয়েছে।
চিকিৎসকের পরামর্শ মতে তার ডায়েট চার্ট আনুযায়ী কম চিনি দিয়ে তৈরি করা হয় এ খাবার। দুপুর ১২টা থেকে সাড়ে ১২টার মধ্যে খালেদার কেবিনে পৌঁছে দেয়া হয় দুপুরের খাবার। তাতে দেয়া হয় ভাত ও পোলাওয়ের সঙ্গে ডিম, রুই মাছ, মাংস আর আলুর দম।
এদিকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঈদের দিন সোমবার দুপুরে দেখা করেছেন তার স্বজনরা।
খালেদা জিয়ার প্রয়াত ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলী রহমান সিঁথি, কোকোর দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমান, খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার, ভাইয়ের স্ত্রী কানিজ ফাতিমা ও ছেলে অভিক ইস্কান্দার বেলা দেড়টার দিকে হাসপাতালে যান। সেখানে তারা খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিকাল ৪টা পর্যন্ত অবস্থান করেন।
এদিকে, ঈদের দিন দুপুরে খালেদা জিয়ার কারামুক্তির দাবিতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মিছিল নিয়ে রাস্তায় নামেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মিছিলটি নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আবার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কাছে গিয়ে শেষ হয়।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত ভাষণে রিজভী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার ভয়াবহ অসুস্থতার পরও এই সরকার তার প্রতি আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে।
তাকে অন্যায় ও অবিচারমূলকভাবে কারাগারে বন্দী রাখা হয়েছে। চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে প্রতিনিয়ত বিভিন্নভাবে তার জামিনেও বাধা সৃষ্টি করছে এই প্রতিহিংসাপরায়ন সরকার।
ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার খালেদা জিয়াকে কারাবন্দী রেখে তিলে তিলে নিঃশেষ করতে চায় এ সরকার।