রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
spot_img

আগামী বাজেটে শিক্ষাখাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ চাই -শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ

গত ১০ মে ১৮ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় বাংলাদেশ শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ চট্টগ্রাম জেলা কমিটির উদ্যোগে আন্দরকিল্লা শিক্ষকভবনস্থ বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক সভাপতি সৈয়দ লকিয়তুল্লাহ’র সভাপতিত্বে কার্যকরী কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার এত বছর পরও শিক্ষাখাতে বাজেট বরাদ্দের পরিমাণ বাড়েনি, যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরে রয়ে গেল। এভাবে চলতে থাকলে সুশিক্ষা বা দক্ষ মানবসম্পদ গড়া কখনোই সম্ভব হবে না। উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশে পরিণত করতে হলে ইউনেস্কোর সুপারিশ অনুযায়ী জিডিপি’র ৬% অথবা জাতীয় বাজেটের ২০% শিক্ষাখাতে ব্যয় বরাদ্দ করে শিক্ষাখাতকে শতভাগ লাভজনক বিনিয়োগ খাত তথা জাতির ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগ হিসেবে পরিণত করতে হবে বলে অভিমত প্রকাশ করেন বক্তারা। নতুন বাজেটে শিক্ষাখাত থেকে সরকারী শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায় বার্ষিক ৫% ইনক্রিমেন্ট প্রদান, শতকরা হারে বাড়ি ভাড়া, পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা, মেডিকেল ভাতা এবং বৈশাখী ভাতা প্রদান করার জোরদাবি জানান। বর্তমান সরকার এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের বেতন ভাতা ৮ম পে-স্কেলে অন্তর্ভুক্ত করার ফলে পুরো শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ নির্ভর করে শিক্ষাখাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দের মধ্য দিয়ে সরকারের একটি সাহসী পদক্ষেপের উপর। তাই বিনা প্রয়োজনে কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে স্কুল-কলেজকে সরকারিকরণের পরিবর্তে সমগ্র শিক্ষা ব্যবস্থার জাতীয়করণের গণদাবিকে দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্ববান জানান। তাছাড়া বক্তারা আরো বলেন, বর্তমানে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীগণ অবসর গ্রহণের পর কখন তিনি তার প্রাপ্য অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা পাবেন তাও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তাই এই অবস্থায় অনেক শিক্ষক-কর্মচারী পরিবার-পরিজন নিয়ে অর্থনৈতিক টানাপোড়নে নিদারুণ কষ্টে দিনযাপন করছেন। তাই অবসর সুবিধাবোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টের জন্য প্রণীত আইনানুযায়ী আগামী বাজেটে সরকারি তহবিল থেকে থোক বরাদ্দ দিয়ে হলেও অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের দ্রুততম  সময়ের মধ্যে অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা প্রদান করে দূর্বিসহ জীবন থেকে রেহাই দেয়ার জোরদাবি জানান। সভায় বক্তব্য রাখেন শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ চট্টগ্রামের আহ্ববায়ক ও আঞ্চলিক সাধারণ সম্পাদক অঞ্চল চৌধুরী, বাকবিশিস বিভাগীয় সভাপতি অধ্যাপক উত্তম চৌধুরী, বাশিস চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি নুরুল হক সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কানুনগো, বাকবিশিস বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আবুল মনসুর মো: হাবিব, বাশিস উত্তর জেলা সভাপতি রঞ্জিত নাথ, সাধারণ সম্পাদক জানে আলম, বাকবিশিস জেলা কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মোহাম্মদ রফিক উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক তড়িৎ কুমার ভট্টাচার্য, বাকবিশিস মহানগর সভাপতি অধ্যাপক নোমান আহমাদ সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক অজিত দাশ, বাশিস সংগ্রাম কমিটির আহ্ববায়ক শিমুল মহাজন, বাশিস দক্ষিণ জেলার সভাপতি ছগির মোহাম্মদ, সাধারণ সম্পাদক ওসমান গণি প্রমুখ।

সর্বশেষ