রমজান ও ঈদকে ঘিরে রাজধানীতে অজ্ঞাণপার্টির সদস্যরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে এবার আইন শৃঙ্খলা বাহিনী আগের চেয়ে বেশি তৎপর। ইতিমধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে অজ্ঞাণপার্টির আট সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপি’র গোয়েন্দা ও অপরাধতথ্য (পূর্ব) বিভাগের একটি দল।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, শাহআলম (৫২), টুকু (৩৮), হাফিজ (৩৫), আছলাম মোল্লা (৪৪), নয়ন মোল্লা (৪০), হারুন বেপারী (৪৫), শিপলু সিকদার (৩০) ও রুহুল আমিন (২৪)। এসময় ডিবি পুলিশ তাদের কাছ থেকে ১২০ পিস চেতনা নাশক ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, তারা সাধারণ মানুষের সরলতার সুযোগ নিয়ে টার্গেট ব্যক্তির বা যাত্রীদের কৌশলে পানি, চা, জুঁস ও শরবতসহ অন্যান্য তরল জাতীয় খাদ্য দ্রব্যের সাথে চেতনানাশক ট্যাবলেট মিশিয়ে তাদের খাইয়ে দেয়। টার্গেটকৃত ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে গেলে সুযোগমত তার টাকা পয়সা ও মূল্যবান মালামাল নিয়ে যায়।
রাজধানীতে শুধু সাধারণ মানুষই নয়, অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির খপ্পর থেকে পার পাচ্ছে না খোদ পুলিশ সদস্যরাও। বিভিন্ন কৌশল ও নতুন নতুন পদ্ধতির ব্যবহার করছে এসব অপরাধীরা। এদের দৌরাত্ম বন্ধে রাজধানীর সব বাস-ট্রেন-লঞ্চ টার্মিনালসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করছে পুলিশ।
এদিকে প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে অবৈধ পথে আসছে চেতনানাশক ওষুধ। আর রাজধানীর কিছু অসাধু ঔষধের দোকান মালিক অজ্ঞান পার্টি চক্রের সদস্যদের যোগসাজসে তা সরবরাহ করায় থামানো যাচ্ছে না অজ্ঞান পার্টির প্রকোপ। ওষুধ মেশানো জুস-শরবত, কফি-চা, হালুয়া, চকলেট-বিস্কুট, খেজুর, ডাবের পানি, বিড়ি-সিগারেট, পান খাইয়ে সাধারণ মানুষদের অজ্ঞান করে তাদের অর্থ-মালামাল লুটে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা। তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় পুলিশের অভিযানে উদ্ধার হওয়া ওষুধের মধ্যে রয়েছে চেতনা নাশক ট্যাবলেট মাইলাম, ডরমিটল, লোনাজেপ, এটিভেন, ডর্মিকাম।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, বিভিন্ন সময় আটক হওয়া অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, তারা এসব ওষুধ মিটফোর্ড, ফকিরাপুলসহ ঢাকার বিভিন্ন ফার্মেসি থেকে কিনে। মূলত এসব ওষুধ অবৈধভাবে ভারত, মিয়ানমারসহ পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।