পয়েন্ট টেবিলের তলানীর দল দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের কাছে শেষ পর্যন্ত হেরেই গেলো চেন্নাই সুপার কিংস। দিল্লির বোলারদের সামনে সুবিধা করতে না পারায় শেষ পর্যন্ত ৩৪ রানে পরাজয় দেখতে হয় ধোনির দলকে।
শুক্রবার আইপিএলের একমাত্র ম্যাচে দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলায় টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ধোনির চেন্নাই। প্লে-অফ আগে নিশ্চিত হওয়ায় তাদের প্রধান লক্ষ্য দ্বিতীয় স্থান নিশ্চিত করা।
ব্যাটিংয়ে নেমে টি-টোয়েন্টির ঝাঁঝটা দেখাতে পারেনি দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। দুই ওপেনার পৃথ্বি শ আর শ্রেয়াস আয়ার তো ধীরে শুরু করেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। পৃথ্বি ১৭ বলে ১৭ আর আয়ার ২২ বলে করেন ১৯ রান। একাদশে সুযোগ পাওয়া গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও ৫ রানে ফিরেন সাজঘরে।
তবে রিশাভ পান্ত তার দুর্দান্ত ফর্ম ধরে রেখেছেন। ২৬ বলে ৩ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ৩৮ রান করেন তিনি। ২৮ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় বিজয় শঙ্কর হার না মানা ৩৬ রান করায় শেষবেলায় এসে লড়াকু পুঁজি পেয়েছে দিল্লি। তবে আসল কাজটা করেছেন হার্শাল প্যাটেল। মাত্র ১৬ বলে ৩৬ রানের দানবীয় এক ইনিংস খেলেন এই ব্যাটসম্যান, যে ইনিংসে ১টি চারের সঙ্গে ৪টি ছক্কা হাঁকান তিনি।
চেন্নাইয়ের পক্ষে লুঙ্গি এনগিদি ২টি, চাহার, জাদেজা, ঠাকুর প্রত্যেকেই ১টি করে উইকেট লাভ করেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৪৬ রানের মাথায় ওপেনার ওয়াটসনের (২৩ বলে ১৭ রান) উইকেট হারায় চেন্নাই। বোল্ট ও মিশরার বোলিং তোপে শেষপর্যন্ত ১২৮ রানেই থামে চেন্নাই এক্সপ্রেস। দলের হয়ে একমাত্র রাইডু (২৯ বলে ৫০) যা একটু চেষ্টা করেন। বাকিদের চেষ্টা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না, বরং রানের ব্যবধান কমানোর চেষ্টা। তাতেও অসফল ধোনি (২৩ বলে ১৭, এক ৪), জাদেজারা (১৮ বলে ২৭)। ওভারপিছু যখন ১১-১২ রান লাগে তখনও রান তোলার জন্য যুদ্ধ করলেন। এই যুদ্ধ শেষ হলো ৬ উইকেট হারিয়ে ১২৮ রানে। বল হাতে এদিন দিল্লির সব বোলারই রান দিয়েছেন হিসাব মতো। দিল্লির হয়ে বোল্ট ও মিশরা ২টি, লামিচ্যাং, প্যাটেল ১টি করে উইকেট লাভ করেন।