প্রিয় সংবাদ ডেস্ক :: করোনা ভাইরাস আতংকে গণমাধ্যম কর্মিরা। দেশের সর্বোচ্চ আদালত গণমাধ্যম কর্মিদের জন্য কোভিড ১৯ মোকাবেলায় স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান থেকে নিরাপত্তা সরঞ্জামের ব্যবস্থা করার নির্দেশনা দেন গেল সাপ্তাহে। কিন্তু কে শোনে কার কথা।
অধিকাংশ গণমাধ্যম কর্মিরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। তার উপর আছে বেতন ভাতার অনিশ্চয়তা। সরকার ১০দিনের ছুটি ঘোষণা করছে। পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে ঠেকবে তাও অনিশ্চিত।
বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর মিছিল ক্রমশ:বাড়ছে। চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে সর্বশেষ খবরটি পৌঁছে দিচ্ছে গণ্যমাধ্যম কর্মিরা, জনগনকে বাসায় থাকতে, নিরাপদে থাকতে উৎসাহিত করছে।
এরমধ্যে মুদ্রন বন্ধ হয়ে গেছে মানবজমিন পত্রিকার। সার্কুলেশন কমেছে বিভিন্ন সংবাদপত্রের। কিন্তু কাজ কমেনি। বিভিন্ন সংবাদপত্র, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া গণমাধ্যম কর্মিদের অ্যসাইন্টম্যান্ট দিয়ে ব্যস্ত রাখছে গণমাধ্যম কর্মিদের। এমন এক ভয়ংকর অবস্থায় নির্লিপ্ত গণমাধ্যমের মালিক পক্ষের হয়ে কাজ করা সিনিয়র সাংবাদিক নেতারা।
গণমাধ্যমের এই কঠিন সময়ে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাঠে কাজ করা গণমাধ্যমকর্মীদের পাশে দাড়াতে হবে।
গণমাধ্যম কর্মিদের সংকটময় মুহুর্তের কথা বিবেচনায় রেখে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে পাশে থাকার জন্য মালিকপক্ষকেও এগিয়ে আসতে হবে।
প্রিয় সহকর্মীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় রেখে সামান্য কিছু অর্থের বিনিময়ে যেসব সাংবাদিক নেতারা সুবিধাভোগে ব্যস্ত রয়েছেন তাদের থেকে সাবধান থেকো।
নিজের পরিবার স্বজনদের দুর্যোগময় পরিস্থিতে রেখে রিস্ক নিয়ে যারা মাঠে ময়দানে সংবাদের পেছনে ছুটছেন তারা একবার ভেবে দেখবেন গণমাধ্যমের মালিক পক্ষ কি পাশে আছে?
করোনা ভাইরাস সংক্রমন রোধে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তো অনেক দান-অনুদান দিয়েছে। দান অনুদানের ছিটে ফোঁটা কি আপনার হাতে দিয়েছে? দুর্যোগময় সময়ে মালিকপক্ষের সেসব সিনিয়র সাংবাদিক নেতারা কি আপনার পাশে আছে?
হয়ত এজন্য বলা হয়, ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না। আর হাদিসে বলেছে, “অবশ্যই কর্মের উপর ফলাফল নির্ভরশীল”।
গণমাধ্যম কর্মিরা সেই ফল পেতে শুরু করেছে। এরপরও বলছি, ভাল থেকো প্রিয় গণমাধ্যম কর্মিরা।
লেখক, সাংবাদিক হাসান ফেরদৌস,
চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও একুশে টেলিভিশন চট্টগ্রাম ব্যুরোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক। সূত্র::২৪ঘন্টা