প্রিয় সংবাদ ডেস্ক :: করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে এখনই সারা দেশ লকডাউন করা দরকার বলে মনে করে বিএনপি।
রোববার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘অবশ্যই লকডাউন প্রয়োজন। এখনই সারা দেশ লকডাউন করা দরকার। আমরা মনে করে, একাত্তরে যেভাবে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি, এবারও সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সংকট কাটিয়ে উঠতে পারব। তবে তার জন্য প্রয়োজন সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।
রোববার বিকেলে রাজধানীর নিজ বাসায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনটি বিএনপির অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে সরাসরি প্রচার করা হয়।
এর আগে সকালে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে দেশে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবিলায় সরকারের কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে পাঁচটি প্যাকেজে মোট ৭২ হাজার ৭৫০হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজের ঘোষণা দেন। যা জিডিপির ২.৫২ শতাংশ।
গতকাল শনিবারই সংবাদ সম্মেলনে করোনাভাইরাসজনিত বৈশিক মহামারির কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সম্ভাব্য মহাদুর্যোগ মোকাবিলায় ৮৭ হাজার কোটি টাকার অর্থনৈতিক প্যাকেজ প্রস্তাবনা দেয় বিএনপি। যা জিডিপির তিন শতাংশ।
মূলত সরকারের ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ নিয়ে দলের প্রতিক্রিয়া জানাতেই সকালে সংবাদ সম্মেলনে আসেন মির্জা ফখরুল। একে ‘গরিব মানুষের জন্য অনুদান নয়, ব্যবসায়ীদের জন্য ঋণ প্যাকেজ’ বলে অভিহিত করে তিনি বলেন, ‘এটা দিয়ে চলমান সংকট নিরসন হবে না।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম, আরো বিস্তৃত করে কিছু করবেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু তা তিনি করেননি। তিনি অনেক বিষয় এড়িয়ে গেছেন। জাতি তার কাছে এমনটি আশা করেনি।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এখানে আমার কাছে যেটা মনে হয়ে যে, ৭২ হাজার কোটি টাকা পুরোটাই ঋণ। এখানে অনুদান বলতে কিছু নেই। সব ঋণের প্যাকেজ।’
খেটে খাওয়া মানুষের কথা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সাধারণ ‘দিন আনে দিন খায়’ গরীব মানুষের জন্য আমরা সরকারকে ১৫ হাজার কোটি টাকা দেয়ার কথা বলেছিলাম। সুনির্দিষ্টভাবে বলেছিলাম এটা অনুদান দিতে হবে। আমরা বলেছি, ভাতা বাড়াতে, চিকিৎসক-নার্স, চিকিৎসাকর্মীদের প্রণোদনা দিতে হবে, স্বাস্থ্যখাতে প্রণোদনা বাড়াতে হবে।’
‘শুধুমাত্র ঋণ নয়। আপনাকে এভাবে তাদেরকে অনুদান, ভাতা, বেতন বাড়িয়ে তাদেরকে সহযোগিতা করতে হবে। যে বিষয়গুলো অত্যন্ত জরুরী, সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে তিনি(প্রধানমন্ত্রী) সেইভাবে কথা বলেননি। ‘দিন আনে দিন খায়’-এই শ্রেণীর মানুষের সংখ্যা বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি। দুর্ভাগ্যবসত সেই সেক্টারের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে মধ্যে কোথাও, তার প্যাকেজের মধ্যে কোথাও সেই ধরনের কিছু আমরা দেখতে পাই নাই। রেমিট্যান্স যারা পাঠান তাদের কোনো কথা এই প্রণোদনা প্যাকেজে নেই।’
গার্মেন্টস খাতের প্রণোদনা শ্রমিকদের কাছে যাবে কিনা তা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে স্পষ্ট নয় বলে মন্তব্য করেন ফখরুল।