শান্তিনিকেতনের আম্রকুঞ্জের্ ঐতিহাসিক মুহুূর্তের সাক্ষী হয়েছেন হাসিনা-মোদি-মমতা। সকালে দুদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আজ সকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কলকাতার দমদম সুভাষ বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছলে ভারতের বায়ু সেনার একটি হেলিকপ্টারে তিনি শান্তিনিকেতন পৌঁছান। সেখানে দুদেশের প্রধানমন্ত্রী উত্তরায়ণে গিয়ে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর দুজনই সেখানে রাখা স্মারক মন্তব্য বইতে তাদের মতামত লিপিবব্ধ করেন। এরপর সেখান থেকে বিশ্বভারতীর প্রথা অনুযায়ী দুদেশের প্রধানমন্ত্রী হাসিনা-মোদি, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল কেশরী লাল ত্রিপাটি, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়সহ সকলেই হেঁটে আম্রকুঞ্জের মূল অনুষ্ঠানস্থলে আসন গ্রহণ করেন। এ সময় আম্রকুঞ্জে একই মঞ্চে দুদেশের প্রধানমন্ত্রী হাসিনা ও মোদির পাশেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও দেখা যায়।
এই প্রথম বিশ্বভারতীর কোন সমাবর্তন মঞ্চে উপস্থিত থাকলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। ৪২ বছর আগে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায় সমাবর্তনে উপস্থিত থাকলেও ছিলেন দর্শক আসনে। এর আগে সকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বিমানযোগে কলকাতায় পৌঁছলে তাঁকে হেলিকপ্টারে নিয়ে যাওয়া শান্তিনিকেতন। এ সময় সঙ্গে তাঁর বোন শেখ রেহেনাও ছিলেন।
সমাবর্তন উৎসব শেষে বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধন হবে সেখানেও মমতা উপস্থিত থাকবেন। এরপরই অনুষ্টিত হবে হাসিনা-মোদির প্রত্যাশিত বৈঠক।