spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সবকিছু খুলে দিলে রোগী বাড়বেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

spot_img

 

- Advertisement -

প্রিয় সংবাদ ডেস্ক :: সবকিছু খুলে দিলে রোগী বাড়বেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, যেহেতু স্বাভাবিকভাবে এখন কি না মার্কেট খোলা হয়েছে, গার্মেন্ট খোলা হয়েছে, দোকনপাটে আনাগোনা বাড়ছে। কাজেই সংক্রমণ যে একটু বৃদ্ধি পাবে, এটা আমরা ধরেই নিতে পারি। সব কিছু খুলে দিলে রোগী বাড়বেই’।

মঙ্গলবার বিকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে করোনাভাইরাস টেকনিক্যাল কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশে এখন ক্রমশ করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার পরিসংখ্যান তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের সংক্রমণ কিছু বাড়ছে। গত ৮-১০ দিন ধরে দেখেছি চার থেকে পাঁচশ রোগী হত, কিন্তু এখন ছয়শও ছাড়িয়ে গেছে, আজ সাতশ ছাড়িয়েছে।

জাহিদ মালেক বলেন, “আমাদেরকে যতটুকু সম্ভব নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। জীবন ও জীবিকা দুটিই সঙ্গে সঙ্গে যাবে। কাজেই সেভাবেই কাজগুলো হবে। তবে আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় চেষ্টা করবে যাতে রোগী না বাড়ে। আমাদের দায়িত্ব হল যাতে রোগীগুলো সঠিক চিকিৎসা পায়, সঠিকভাবে রাখতে পারি।”

সংক্রমণ বাড়তে থাকার মধ্যে ১০ মে শপিং মল খোলা জরুরি ছিল কি না জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “টেকনিক্যাল কমিটি এই বিষয়টি সভায় তুলে ধরেছেন। কমিটি একটি প্রস্তাবনা দেবেন এবং সুচিন্তিত মতামত ও পরামর্শ দেবেন। সেই পরামর্শটা আমরা যথাযথ জায়গায় দিয়ে দেব। খুব শিগগিরই এই মতামত ও পরামর্শ দেবেন।”

চিকিৎসকদের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, কেন চিকিৎসকরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে তা খতিয়ে দেখার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “গতকাল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর নিয়োগের বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য। টেকনিক্যাল কমিটির আলোচনায়ও এই বিষয়টি উঠে আসে। এই বিষয়ে মন্ত্রণালয় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং এটা একটা প্রসেসে আছে। আশা করি, অল্প সময়ের মধ্যে এই কাজটি এগিয়ে নিতে পারব।”

করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবেলায় সরকার গত ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সবাইকে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে। প্রথম এক মাস বাইরের সব ধরনের কাজকর্ম, দোকানপাট, কল-কারখানা ও গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও কিছু দিন ধরে পোশাক কারখানা চালু হয়েছে। আগামী ১০ মে থেকে শপিং মলগুলোও খোলার সিদ্ধান্ত দিয়েছে সরকার।

এদিকে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৮৬ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা এ যাবৎকালে একদিনে সবচেয়ে বেশি।

বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৯২৯ জন। আর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন দুই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, ব্যাংকার, পুলিশসহ ১৮৩ জন।

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ