spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

উপকূলে ১২৭৮টি আশ্রয় কেন্দ্রে ২২ লাখ মানুষ

spot_img

 

- Advertisement -

প্রিয় সংবাদ ডেস্ক ::  ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবেলায় জনগণকে নিরাপদে রাখতে ১২ হাজার ৭৮টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।

মঙ্গলবার সাড়ে ৪টায় সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে ভিডিও কনফারেন্স যুক্ত হয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। প্রতিমন্ত্রী বলেন, এসব আশ্রয় কেন্দ্রে ৫১ লাখ ৯০ হাজার ১৪৪ জন লোক থাকতে পারবে।

তবে করোনার কারণে সেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। সেজন্য সেখানে উপকূলীয় এলাকায় ঝুঁকিতে থাকা ২০ থেকে ২২ লাখ লোককে সরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র সময় ১৮ লাখ এবং ‘বুলবুল’-এর সময় ২২ লাখ লোক আনা হয়েছিল।

ডা. এনাম বলেন, এখন আমাদের প্রধান লক্ষ্য হল উপকূলবাসী যারা ঝুঁকিপূর্ণ ঘরবাড়িতে বসবাস করছেন তাদের সাইক্লোন শেল্টারে নিয়ে আসা। গতকাল থেকে কাজটি শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে বিপুলসংখ্যক লোককে আমরা সাইক্লোন শেল্টারে নিয়ে এসেছি।

আজকে (মঙ্গলবার) রাতের মধ্যে সাইক্লোন শেল্টারে আনা সমাপ্ত করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি। কাল (বুধবার) সকাল ৬টার সময় মহাবিপদ সংকেত দেখানো হবে। মহাবিপদ সংকেত দেখানোর পর আর লোকজনকে বাড়িঘর থেকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনার সুযোগ থাকবে না। ঘূর্ণিঝড়টি বুধবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানবে। বাংলাদেশের ভূ-খণ্ডের উপর দিয়ে এটা অতিক্রম করবে।

আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অন্যান্য মন্ত্রণালয় তাদের কর্মকাণ্ডগুলো রিভিউ করেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা মেডিকেল টিম করে প্রয়োজনীয় জরুরি ওষুধ সরবরাহ করেছে।

সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ জানিয়েছে, তারা নৌবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে দুর্গম চর ও দ্বীপ থেকে মানুষকে উদ্ধার করে আনার জন্য। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় তাদের কর্মকর্তাদের মাঠে থাকার নির্দেশ দিয়েছে। আমরা প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। এখন শুধু কন্ট্রোল রুমে বসে আছি। কোন জেলায় আশ্রয় কেন্দ্রে কতজনকে সরিয়ে আনা হয়েছে, সেটার আমরা হিসাব করছি। সে বিষয়ে আপনাদের ঘণ্টায় ঘণ্টায় ব্রিফিং করব।

আমরা আশা করি রাত ৮টার মধ্যে সবাইকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসতে পারব। ঝড়-পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ এবং দ্রুত ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য সব মন্ত্রণালয় পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বলেও জানান এনামুর রহমান। তিনি বলেন, এক দিকে করোনা আরেক দিকে ঘূর্ণিঝড় আম্পান। আপনারা জানেন বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় রোলমডেল। এসওডি অনুযায়ী আন্তঃমন্ত্রণালয় মিটিং করেছি। এখন আমাদের প্রধান লক্ষ্য উপকূলবাসী যারা ঝুঁকিপূর্ণ ঘরবাড়িতে অবস্থান করছেন তাদের আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা।

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ