ভারত কি একসঙ্গে দুই ফ্রন্টে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত?

 

- Advertisement -

প্রিয় সংবাদ ডেস্ক :: ভারত কি একসঙ্গে দুই ফ্রন্টে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত? একদিকে চীন অন্যদিকে পাকিস্তান। সম্প্রতি যোগ হয়েছে নেপাল। অন্য প্রতিবেশীদের মনোভাবেও বিরাট পরিবর্তন। চীন এদেরকে মোহগ্রস্ত করেছে। বাস্তব অবস্থাটা আসলে কি? ভারতীয় নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও মিডিয়া রিপোর্টগুলো কোন শুভ ইঙ্গিত দিচ্ছেনা।
ভারতীয় জেনারেল (অব.) অশোক কে. মেহতা বলেছেন, লাদাখ সীমান্তের রক্তক্ষয়ী ঘটনা ভারত–চীন সম্পর্কে একটি দাগ ফেলেছে। দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আর আগের মতো হবে না। পাল্টা সামরিক ব্যবস্থা নেওয়ার অবস্থানেও নেই ভারতের সামরিক বাহিনী।

এদিকে জেনারেল মেহতা ও অন্যান্য ভারতীয় ভাষ্যকারদের লেখা থেকে আরো পরিষ্কার যে, লাদাখ উপাখ্যান চলমান রয়েছে। চীন সৈন্য ও শক্তি বৃদ্ধি অব্যাহত রেখেছে। ভারতীয় সৈন্য নিহতের সংখ্যা সরকারি ভাষ্যের ২০ সংখ্যাটি ঠিক নয়। এটা বরং ৪০ এর বেশি। এমনকি অন্তত একজন ভারতীয় কর্নেল ও একজন মেজর এখন পর্যন্ত নিখোঁজ আছেন।

গত শুক্রবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিরোধী দলের সঙ্গে ভার্চুয়াল কনফারেন্সে বলেন, চীনারা ভারতীয় ভূখন্ডে অনুপ্রবেশ করেনি। এরপর থেকে তিনি মিডিয়ায় সমালোচিত হচ্ছেন। হিন্দুস্তান টাইমস রোববার এক সম্পাদকীয়তে বলেছে, চীনা সৈন্যরা অনুপ্রবেশ করেনি, এই ঘোষণা ভারতের বন্ধুদের বিভ্রান্ত করেছে। ঘটনার বিষয়ে অবস্থান নির্ধারণে তারা ধাধায় পড়ে গেছেন। তাই প্রধানমন্ত্রীর তরফে একটি পরিষ্কার বিবৃতি আসতে হবে। অনেক সময় দ্ব্যর্থক বিবৃতি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কাজে দেয়। কিন্তু এটা তেমন নয়। সরকারকে তার অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে।
রোববার ভারতীয় অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল অশোক মেহতা, যিনি একজন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক হিসেবে গণমাধ্যমে সুপরিচিত, তিনি ‘দি ওয়্যার’ পত্রিকায় একটি নিবন্ধ লিখেন । সেখানেই তিনি ওই অভিমত রাখেন।
জেনারেল মেহতা ১৯৮৭–১৯৮৮ সালে সাম্প্রতিক লাদাখ সংঘাতের মতোই চীনের সঙ্গে ওই সময়কার একটি সীমান্ত সংঘাত মোকাবেলার কৌশলগত পরিকল্পনা সম্পর্কিত প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদস্য ছিলেন।
ভারতীয় জেনারেল মেহতা বলেছেন , লাদাখের গালোয়ান উপত্যকায় চীন-ভারতের সংঘাত ভারত–চীন সম্পর্কে একটি গভীর দাগ তৈরি করেছে এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আর কখনোই আগের মত হবে না।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, একটা উপযুক্ত জবাব দেয়া হবে, তাতে বিরাট অনিশ্চয়তা রয়েছে । তার পদক্ষেপ সম্ভবত অর্থনৈতিক ঘরানার হবে। কূটনৈতিক হবে। কিন্তু সামরিক হবে না । চলতি মাসের গোড়ার দিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মোদির সঙ্গে কথা বলেছিলেন। এসময় তিনি বলেছিলেন, ভালো মুডে নেই। লাদাখের পর তার মুড আরো ভালো থাকবে না।
জেনারেল মেহতার মতে বিষয়টিকে অতীতের কোন সীমান্ত সংঘাতের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা যাবেনা। উরি বা বালাকোটের সঙ্গে মিল নেই। ভুটান সন্নিহিত দোকলামে কি ঘটেছিল, তার সঙ্গেও এর কোন মিল নেই। এখনও পর্যন্ত চীন তার সৈন্য মোতায়েন অব্যাহত রেখেছে ।
চীনের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়ার বিষয়ে তিনি লিখেছেন, সম্ভবত এটা ঘটতে যাচ্ছে না। অন্তত নিকটবর্তী কোন সময়ে । কিন্তু এটা করা সম্ভব।
তবে ভারতীয় জেনারেল মেহতা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যে এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় যেকোনো ধরণের পাল্টা পদক্ষেপ নেয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত সীমিত । কারণ ইতিমধ্যেই আমরা জানি যে গোলাবারুদের ঘাটতি রয়েছে । অর্ডিন্যান্স অস্ত্র কারখানাগুলোতে ধর্মঘট চলছে এবং তাদেরকে করোনা সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি তৈরিতে ব্যস্ত রাখা হয়েছে । সরকার দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানের প্রতি মোহাচ্ছন্ন থেকেছে এবং চীনকে অবহেলা করেছে । পাকিস্তানের দিকে এবং নির্বাচনী চিন্তাভাবনা দ্বারা পরিচালিত হয়েছে। প্রত্যেকটি ভারতীয় শিক্ষা পেয়েছে যে , চীন নাম্বার ওয়ান এনিমি। চীন এক নম্বর শত্রু । কিন্তু পথ চলতে গিয়ে পাকিস্তান সর্বদাই পপ-আপ করবে। মানে পাকিস্তান সামনে এসে পড়বে।
মেহতা সুপারিশ করেছেন যে, ভারতীয় গণমাধ্যমের উচিত উরি এবং বালাকোটের মতো পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত না করা। বরং নিন্দা জানানো উচিত কারণ চীন উহান চেতনা এবং দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যকার স্ট্রেটেজিক গাইডলাইন লংঘন করেছে, সেই অভিযোগে । চীনের সোশ্যাল মিডিয়া এই বিষয়ে জাতীয়তাবাদের বিকাশ ঘটিয়েছে। তবে এটা এমন একটা ভাবাবেগ যাকে চীন উৎসাহিত করতে রাজি নয়। পিপলস লিবারেশন আর্মির সরকারি মুখপাত্র, পিপলস ডেইলি এবং কমিউনিস্ট পার্টি ১৬ ই জুন এর সংঘাত নিয়ে খবর প্রকাশ করেনি । কেবল গ্লোবাল টাইমস শেষ পৃষ্ঠায় একটা ছোট খবর দিয়েছে। চীনের বার্তা সংস্থা সিনহুয়া কেবলই চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি প্রচার করেছে।

নিহত ৪০ এর বেশি
ভারতীয় দৈনিক ডেকান ক্রনিকল বিশ্বস্ত সামরিক এবং গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে বলেছে, লাদাখে চীন সীমান্তে নিহত ভারতীয়দের সংখ্যা এমনকি ৪০ ছাড়িয়ে যেতে পারে ।
গত বছরের অক্টোবরে একজন ভারতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তা ফোর্টিন কোরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর লাদাখ অঞ্চলের একজন জেনারেল অফিসার কমান্ডিং এর সঙ্গে সাক্ষাত্ করেছিলেন। ওই ১৪ তম কোর বা সেনাদলটি ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে ১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধের পরে গঠন করেছিল এবং তারাই আজ ভারতীয় উত্তরাঞ্চলীয় আর্মির কমান্ডের অধীনে । এবং তাদেরই কাজ হচ্ছে লাইন অব একচুয়াল কন্ট্রোল এর নিরাপত্তা বিধান করা ।
আর লাইন অব একচুয়াল কন্ট্রোল হচ্ছে আকসাই চীন নামের একটি জায়গায় ভারত এবং চীনের মধ্যবর্তী সীমান্তকে বিভক্ত করেছে । ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৬২ সালের যুদ্ধের পরে এবং ওই যুদ্ধে ভারত চরমভাবে পরাজিত হয়েছিল। তখন চীনকে বিস্তুীর্ণ ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে হয়েছিল।
পত্রিকাটি লিখেছে ,ভারতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তা ওই সময় লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরি সিংকে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। জেনারেল হরিন্দর সিং সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক মহাপরিচালক । গতবছর তিনি লাদাখ অঞ্চলে জিওসির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ওই ভারতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তা তখন তার কাছে হুমকিগুলো ব্যাখ্যা করেছেন।

ভারতীয় ভাষ্যকারদের অনেকেই একমত যে, গতবছর সংবিধান সংশোধন করে জম্মু এবং কাশ্মীরের মর্যাদা পরিবর্তন বিষয়টিকে উষ্কে দিয়েছে। ডেকান ক্রনিকল বলছে, চীন সামনের মাসগুলোতে আরো বেশি ভারতীয় ভূখণ্ড দখল করে নেবে এবং ভারতীয় ভূখণ্ডের আরো ভেতরে লাইন অফ একচুয়াল কন্ট্রোলকে সরিয়ে নেবে। একাধিক ভারতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন যে ‘বিশ্বাসযোগ্য তথ্য’ রয়েছে যে, চীন নিজেকে ভারতীয় ভূখণ্ডের দিকে আরো প্রসারিত করতে চাইছে।

কোথায় ছিল গোয়েন্দা তথ্য?
ডেকান ক্রনিকল প্রশ্ন তুলেছে, কেন ভারতের শীর্ষ রাজনৈতিক, স্ট্রেটেজিক এবং সামরিক নেতৃত্ব লাদাখ পরিকল্পনা সম্পর্কে আগাম অনুমান করতে ব্যর্থ হয়েছে? এখন সমুচিত এবং পরিষ্কার একটা কাউন্টার কৌশল নির্ধারণে ভারতের কি করা উচিত ? ভারতের নবনিযুক্ত সামরিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত কি সরকারকে বিভ্রান্ত করেছিল ? কি করে ভারতে যখন বহুসংখ্যক সরকারি এজেন্সি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে চীনের মনোভাব বোঝার জন্য, তখন তারা কি করে চীনের ভারত নীতিতে পরিবর্তন আসার বিষয়টি আগাম অনুমান করতে ব্যর্থ হয়েছিল?
বিহার রেজিমেন্ট এর ১৮ তম ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার ছিলেন কর্নেল সন্তোষবাবু। চীনারা তাকে এবং তার বাহিনীর আরও সদস্যদের নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেছে।

পিপলস লিবারেশন আর্মির এই পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে লাদাখে চীনের মনোভাব কি, সেই প্রশ্ন জোরদার হয়েছে। বিশ্বস্ত সামরিক এবং গোয়েন্দা সূত্রগুলো এখন বলছেন ভারতীয় সৈন্যদের মৃতের সংখ্যা অনেক বেশি। এমনকি ৪০ জনের চেয়েও বেশি । ধারণা করা হচ্ছে একজন কর্নেল এবং একজন মেজর এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। এবং তারা সম্ভবত চীনের কাছে বন্দী অবস্থায় রয়েছেন।

পত্রিকাটি বলেছে, এটা এখনো পরষ্কার নয় যে কেন কর্নেল বাবু এবং তার লোকেরা নিরস্ত্র অবস্থায় একটি অস্থায়ী চীনা কাঠামো অপসারণ করতে গিয়েছিল ? ওই কাঠামোটি পেট্রোলিং পয়েন্ট নাম্বার চৌদ্দতে স্থাপন করা হয়েছিল। এ ক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ড নিয়ম ছিল, একটি করে এ্যাসাল্ট রাইফেল তাদের পিঠে ঝুলবে এবং রাইফেলের বেয়নেট অংশটি থাকবে নিচের দিকে । যার অর্থ হবে যে তিনি একটা শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন। আর আকস্মিকভাবে কোন বৈরিতার মধ্যে জড়িয়ে পড়ে তাহলে তাও প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। কিন্তু তারা ছিল নিরস্ত্র।

তাই প্রশ্ন হলো কেন কর্নেল বাবু এবং তার লোকেরা নিরস্ত্র অবস্থায় চিনা কাঠামো অপসারণ করতে গিয়েছিল?

বিশ্লেষকরা বলছন, বেল্ট এন্ড রোড প্রকল্পে ভারতীয় বিরোধীতায় চীন হতাশ হয়ে পড়েছিল। চীনের মেনুফেকচারিং ইন্ডাস্ট্রিকে অবশিষ্ট বিশ্বের সঙ্গে যুক্ত করতে চায় তারা বেল্ট এন্ড রোড দিয়ে। এরপর গত বছরের আগস্টে ভারত যখন তার সংবিধান থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বতিল করে , যার মাধ্যমে জম্মু এবং কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা খর্ব হয়। চীন তখন কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছিল।

চায়ের পাতা ঝরা, দুই ফ্রন্টে যুদ্ধ করা

চীনের দাবি হচ্ছে লাদাখের বৃহত্তর অংশ, সাবেক জম্মু এবং কাশ্মীর এর পূর্বাঞ্চলীয় অংশ এবং এই এলাকার কোন স্ট্যাটাস পরিবর্তনের বিষয়টি চীন তার ওই দাবির প্রতি হুমকি মনে করে।

এখন মোদি সরকারকে তুলোধুনো করছে ভারতের মূল মিডিয়া। তারা বলছে, যেটা একেবারেই অমার্জনীয় সেটা হচ্ছে কেন তারা চীনা চায়ের পাতা ঝরা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছিল? তারা কেন বুঝতে ব্যর্থ হয়েছিল যে চীন আগেকার স্ট্যাটাসকে রক্ষা করে চলবে না এবং হঠাৎ তাতে পরিবর্তন নিয়ে আসবে।

তারা আরো বলছেন, প্রতিবছরই ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যৌথভাবে কি করে লাদাখ সেক্টরে পেট্রোলিং করবে সে ব্যাপারে যৌথ পরিকল্পনা গ্রহণ করে থাকে । তখনই সিদ্ধান্ত হয় কতগুলো সেনাদল যাবে এবং কতগুলো দল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় পাঠাবে । প্রতিটি দলে জিএসএম ইউনিট থাকে, যাতে তারা পুরো এলাকার রেকর্ড তথ্য সবকিছুই সংগ্রহ করতে পারে । সুতরাং স্পষ্ট যে বিদ্যমান ব্যবস্থা এবার কাজ করেনি।

ভারতীয় রাজনৈতিক এবং স্ট্যাটিজিক নেতৃত্ব এটা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছিল, আগের দ্বিপক্ষীয় চুক্তিগুলো লঙ্ঘন করবে চীন। বিশেষ করে তাদের উভয়ের মধ্যে বোঝাপড়া ছিল যে, লাইন অব একচুয়াল কন্ট্রোল এর কোন পরিবর্তন আনতে হলে সেটা একতরফা করা যাবে না।

বিশ্লেষকরা অরো বলছেন, একথা সত্য যে ভারতের সামরিক বাহিনী ছয় বছর ধরে তহবিল সংকটে ভুগছে । সেকারণে তার যুদ্ধ করার সামর্থ্যকে সীমিত করে দিয়েছে। ভারতকে একই সঙ্গে মনে রাখতে হবে, দুই ফ্রন্টে যুদ্ধ করা কঠিন হবে। চীনের সঙ্গে পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি ঘটে যায়, তাহলে পাকিস্তান তার ফ্রন্ট থেকে যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারে কিনা ?

পত্রিকাগুলো লিখেছে, চীনের পরিকল্পনা বুঝতে পারার ব্যর্থতার অনেক চড়া মূল্য দিতে হয়েছে, সেটা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত। বহু বছর ধরে বাজে পরিকল্পনা করা, প্রতিরক্ষা বাজেটের ঘাটতি থাকা, কোভিড–১৯ দ্রুত ছড়িয়ে পড়া, একটা ভেঙে পড়া অর্থনীতি– এসবের সবকিছুই চীনের সঙ্গে মোকাবেলা করতে ভারতের বিকল্পগুলোকে সীমিত করে দিয়েছে। সূত্র:: মানবজমিন

সর্বশেষ