প্রিয় সংবাদ ডেস্ক :: সাহসী সাংবাদিকতার জন্য সিপিজে কর্তৃক ইন্টারনশ্যাল প্রেস ফ্রিডম অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলম বলেন, আমি যেটা করেছি সেটা যে কোনো সাংবাদিকের করার কথা। সেটা অস্বাভাবিক কিছু না। বরং এটা এই সময়ে যে কেউ কেউ করছে না সেটা বেশি দুশ্চিন্তার বিষয়। এই সময়ে অনেকের যাদের কথা বলার কথা তারা চুপ থাকছেন সেটা আমার জন্য আরো বেশি চিন্তার। ইন্টারন্যাশনাল প্রেস ফ্রিডম অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।
শহিদুল আলম বলেন, এই পুরস্কার বাংলাদেশি হিসেবে আমি পেয়েছি যেটা দেশের জন্য গর্বের। কিন্তু আমি মনে করি এটা আমার ব্যক্তিগত না। এতোগুলো মানুষ যারা আন্দোলন করেছে, যারা ছিলো বলে এ কাজগুলো করা সম্ভব হয়েছে এবং যাদের কারণে আমি এখন জামিনে হলেও বাইরে আছি, আমি মনে করি এটা আমাদের সকলের অর্জন। তবে একটি বিষয় আমি এর সঙ্গে বলতে চাই সিপিজে’র মতো প্রতিষ্ঠান পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে যারা সাহসী কাজ করছে সেটাকে সম্মান দেয়। পুরস্কৃত করে। বাংলাদেশেও যে আন্দোলন হয়েছে সেটাকেও তারা এক অর্থে স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এবং যুক্তরাজ্যে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের মতো ব্যক্তি যারা তাদের ক্ষেত্রে তাদের চোখের সামনে অন্যায়ের প্রতিবাদ করছে তাদের ক্ষেত্রে দেয় না সেটাও আমাদের মনে রাখা দরকার। শহিদুল আলম বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টকে সরকার একেবারে নিপীড়নমূলক আইনে পরিণত করেছে। পরিণত করাও বলবো না সেই উদ্দেশ্যই ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন বানানো।
এবং এই ক্রান্তিলগ্নে যেখানে বাকস্বাধীনতার সবচাইতে বেশি প্রয়োজন, যেখানে আমাদের এর থেকে পরিত্রাণ পেতে তথ্য জানাটা সবচাইতে বেশি জরুরি। সেখানে যারা তথ্য দিতে চেষ্টা করেছে তাদেরকে নিপীড়ন করা এবং যারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলছে তাদেরকে চুপ করানোর জন্য এ জিনিসগুলো করছে। কাজলসহ যত সাংবাদিকের ওপর নিপীড়ন করা হচ্ছে প্রত্যকটি ক্ষেত্রেই আমি খুব দৃঢ়ভাবে প্রতিবাদ জানাই। এবং এই সুযোগে যদি তাদের এই পরিস্থিতির ওপর চোখটা পরে আমি তাতে খুশি হবো। সূত্র:: মানবজমিন