বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, গণতন্ত্র আজকে আওয়ামী লীগের বাক্সবন্দি হয়েছে। তেমনি ভাবে বিএনপিও আজকে আওয়ামী লীগের বাক্সবন্দি। আজ খালেদা জিয়া কারাগারে নয়, সারা বাংলাদেশ আজ কারাগারে। আমাদের গণতন্ত্রও কারাগারে। তাই গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার, আগামী দিনে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে আন্দোলন-সংগ্রামের বিকল্প নেই।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে ভাসানী ভবনে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ এখন একটা অন্ধকার টানেলের মধ্যে আছে। আজকে এ দেশের বিচারব্যবস্থা সরকারের কথায় চলে। গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকার জন্য সরকার সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে।
তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র নেই, মিডিয়া সবকিছু প্রকাশ করতে পারে না, আমরা ছোটোখাটো সভা করতে পারি না। আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দেই, তারা তাতে ভীত হয়ে আমাদের বাধা দেয়। কালোপতাকার দিনে মহিলা দলের নেত্রীরা বেশি ভুক্তভুগী ছিল, সেইদিন কী ছিল, এর চেয়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন হতে পারে না। সেই দিন ৫৪/৫৮জন কারাবরণ করেন। তারা (সরকার) আমাদের সভা করতে দেয় না, আবার বলে আমাদের আন্দোলন করার সামর্থ্য নেই।’
খন্দকার মোশাররফ বলেন, দেশনেত্রীর অংশগ্রহণ ছাড়া জনগণ এদেশে নির্বাচন হতে দেবে না। তাই আমাদের সবার দায়িত্ব হবে এই আন্দোলনে শরিক হওয়া। মহিলা দলের নেতৃবৃন্দকে আমি অভিনন্দন জানাই। আপনারা আমাদের অনেক সাহস যুগিয়েছেন। আপনারা আন্দোলন থেকে পিছিয়ে যান নাই। আপনারা ঘর সামলান, সংসার সামলান, সবকিছু সামলান, ইনশাআল্লাহ আপনারা রাজনীতিও সামলাবেন সেই বিশ্বাসও আমাদের আছে। আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।’
তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী একটা প্রেসব্রিফিং করেছেন। ভারত থেকে এসেছেন, তিনি তা না বলে, বেগম খালেদা জিয়ার নামে যত মিথ্যা কথা, বানোয়াট কথা বলেছেন। তিনি (খালেদা জিয়া) নাকি ২০০১ সালে ভারতকে গ্যাস দেবে বলে ওয়াদা করে ক্ষমতায় এসেছিলেন। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
বিএনপির এ নেতা বলেন, সেদিন একটা মিটিংয়ে আমি বলেছি যে প্রধানমন্ত্রী যদি তার এ বক্তৃতা পুনরায় শোনেন তারই লজ্জা লাগবে। আমরাও লজ্জিত হয়েছি। তাই আপনার (প্রধানমন্ত্রী) কথা থেকেই আপনাকে বলতে চাই, আপনি যদি বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা করতে না পারেন, জনগণের পক্ষে কথা বলতে না পারেন, তাহলে জনগণের দাবি পূরণের জন্য এই দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হতে হবে।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৭তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। সংগঠনটির সভাপতি আফরোজা আব্বাস এতে সভাপতিত্ব করেন। এতে অন্যদের মধ্যে হেলেন জেরিন খান, রাজিয়া হালিম, নিলুফা ইয়াসমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।