ফেসবুক ফুডিস গ্রুপে নগরীর স্বনামধন্য রেস্টুরেন্টের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমুলক মিথ্যা বানোয়াট পোস্ট দিয়ে অপপ্রচার ও চাঁদাবাজীর অভিযোগে চট্টগ্রামের ফুডিসগ্রুপ ফুড মনস্টারের এডমিনসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে নগরীর উইন্ড অব চেইঞ্জ কর্তৃপক্ষ। রোববার বিকেলে নগর গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগে এই মামলা দায়ের করেন উইন্ড অব চেইঞ্জের ব্যবস্থাপক বরুন বড়–য়া। মামলায় অভিযুক্ত আসামীরা হলো ফেসবুক ফুডগ্রুপে মিথ্যা বানোয়াট পোস্টদাতা সালমান তুষার, ফুড মনস্টারের এডমিন মোহাম্মদ এমরান চৌধুরী, মোহাম্মদ রায়হান, বৃষ্টি ইসলাম, উইন্ড অব চেইঞ্জের বিরুদ্ধে অশ্লীল প্রচারনাকারী লিও আকাশ, এম ডি আশরাফুল ইসলাম, সানজেদুল আলম, জাফরান রাফি। চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা বিভাগের ডিপুটি কমিশনার (ডিসি) এবি সিদ্দিক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ জানায়, আমরা অভিযোগ পেয়েছি, এ ব্যাপারে আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের প্রক্রিয়া চলছে।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, গত ২ জুন সালমান তুষার নামের এক যুবক তার দলবলসহ উইন্ড অব চেইঞ্জে ইফতার পার্টি আয়োজন করে। ইফতার শেষে তারা ফুড মুনস্টার গ্রুপের সদস্য দাবী করিয়া সম্পূর্ণ বিলের উপর ৫০% ডিসকাউন্ট দাবী করে। কিন্তু রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ ডিসকাউন্ট দিতে অস্বীকার করলে রেস্টুরেন্টের মালিক, ব্যবস্থাপকসহ সকলকে অকথ্যভাষায় গালাগাল করতে থাকে। পরে তারা ফিরে গিয়ে ফুডিস গ্রুপ “ফুড মুনস্টার”-এ গ্রুপের এডমিনের সহায়তায় ৩ জুন ভোর আনুমানিক ৩টা থেকে পরিকল্পিত ভাবে ফেইসবুকে উইন্ড অব চেইঞ্জের বিরুদ্ধে অশ্লীল ভাষা প্রয়োগে মিথ্যা, বানোয়াট, নকল ভিডিও, ছবি স্ক্রিনশর্ট সংযুক্ত করে নানাভাবে অপপ্রচার চালাতে থাকে।
একই সময়ে লিও আকাশ, এমডি আশরাফুল ইসলাম, মোঃ সানজেদুল আলম, জাফরান রাফিসহ অনেকে সংঘবদ্ধ হয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালাতে থাকে। এ ব্যাপারে ফুড মনস্টারের এডমিন ইমরানকে এই মিথ্যা বানোয়াট পোস্ট বন্ধ বা মুছে ফেলার জন্য বার বার অনুরোধ করা হলেও তিনি তা না করে তিনি রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষে কাছে উল্টো চাঁদা দাবী করেন। পরে এই ঘটনায় রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ পুলিশের সহায়তা গ্রহন করে।
মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, ফুড মুনস্টার গ্রুপের এডমিনরা রেষ্টুরেন্ট মালিকদের নানা ভাবে হয়রানি ও চাঁদাবাজি করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। তাহাদেরকে অন্যায়দাবী ফুড স্পন্সর না করলে অথবা তাদের পরিচালিত তথাকথিত সংগঠনের জন্য দাবীকৃত চাঁদা না দিলে তাদের নিজস্ব লোক এবং দলবল দিয়ে যেকোন রেষ্ট্রুরেন্টকে পথে বসিয়ে দেয়ার জন্য তারা ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে।