প্রিয় সংবাদ ডেস্ক :: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। করোনা নিয়ন্ত্রণেও পুলিশকে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে। এটা তাদের জন্য বুমেরাং হবে। পুলিশ কী করবে তা সবাই জানে। মাঝখান থেকে সাধারণ মানুষের হয়রানি আরও বাড়বে।
সোমবার ঠাকুরগাঁও শহরের কালীবাড়ি এলাকার নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকার সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে। মানুষের সেবা নয়, দুর্নীতি করাই এ সরকারের প্রধান লক্ষ্য। সরকার নামেমাত্র লকডাউন দিয়ে এর আড়ালে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ক্র্যাকডাউন শুরু করেছে।
করোনা পরিস্থিতির জন্য সরকারকে দায়ী করে তিনি বলেন, এর কারণ প্রথমত সরকারের উদসীনতা, দ্বিতীয়ত অজ্ঞানতা আর তৃতীয়ত সবকিছুতেই দুর্নীতির চেষ্টা। এ ক্ষেত্রেও তারা দুর্নীতির ক্ষেত্র খুঁজে বের করেছে এবং সফল হয়েছে। সরকারি হাসপাতাল বা স্বাস্থ্য খাতে বিরাট দুর্নীতির সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। সরকার কখনও করোনা নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে লকডাউন ঘোষণা করে সরকার গণপরিবহন বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু মানুষ যেভাবে পেরেছে বাড়ির দিকে রওনা দিয়েছে। আমাদের প্রশ্ন ছিল, আগে থেকে এটার পরিকল্পনা করলেন না কেন? তখন যদি গণপরিবহন ছেড়ে দিতেন তাহলে মানুষ সহজে বাড়ি যেতে পারত। সরকার ঈদের ছুটি দিয়েছে তিন দিন। ফলে অল্প সময়ের মধ্যে মানুষ আবার কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে। এতে সাধারণ মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। যাদের নিজস্ব গাড়ি আছে তাদের কিন্তু সমস্যা হয়নি।
তিনি বলেন, মানুষ খেতে পায় না; অথচ তাকে বলছেন আপনি ঘরের ভেতর বসে থাকুন। পৃথিবীর সব দেশেই দিন আনে দিন খাওয়া মানুষদের সরকারের তরফ থেকে অনুদান দেওয়া হয়েছে। বিএনপিও বলেছিল অসহায়দের তিন মাসের জন্য এককালীন ১৫ হাজার টাকা করে সাহয্য দেওয়া হোক। দেশে দুই কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। আর অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কাজ করে প্রায় ছয় কোটি মানুষ। তাদের প্রণোদনার আওতায় আনা হয়নি। প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে গার্মেন্ট ও শিল্পকারখানার মালিকদের।
তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে সরকারই বিভিন্ন ঘটনা ঘটিয়ে বিরোধীদের ওপর চাপাচ্ছে। বিরোধীদের নামে মামলা দিয়ে গণগ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারদের ঈদের মধ্যেও জামিন দেওয়া হয়নি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি তৈমুর রহমান, আল মামুন আলম, দপ্তর সম্পাদক মামুনুর রশিদসহ দলের অঙ্গসংগঠনের নেতারা।