spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

রোজিনার ৫ দিন রিমান্ড চায় পুলিশ

spot_img

 

- Advertisement -

প্রিয় সংবাদ ডেস্ক :: রাষ্ট্রীয় গোপন নথি চুরির অভিযোগে করা মামলায় সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেছে পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরিফুর রহমান সরদার এ তথ্য জানিয়েছেন।

রোজিনা ইসলাম সোমবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গেলে তাকে পাঁচ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন সেখানকার কর্মকর্তারা। রাতে তাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে রাষ্ট্রীয় গোপন নথি চুরির অভিযোগে মামলা করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয় অভিযোগ করেছে, এই গণমাধ্যমকর্মী রাষ্ট্রীয় কিছু গোপন নথি সরিয়েছেন; কিছু নথির ছবি তুলেছেন। এগুলো প্রকাশ হলে বিদেশি রাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক নষ্ট হতে পারত। নথিগুলো ছিল টিকা ক্রয়-সংক্রান্ত।

অভিযোগে বলা হয়, বিভিন্ন দেশের সাথে বাংলাদেশের টিকা ক্রয়-সংক্রান্ত আলোচনা চলছে। এর খসড়া সমঝোতা স্মারক ও নন ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট প্রণয়নকাজ চলছে। সমঝোতা স্মারক নিয়ে পক্ষদ্বয়ের মধ্যে প্রতিনিয়ত পত্র ও ই-মেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ হচ্ছে। সেখানে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সন্নিবেশিত।

মন্ত্রণালয়ের করা মামলায় বলা হয়, বেলা ২টা ৫৫ মিনিটে রোজিনা ইসলাম স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিবের একান্ত সচিবের দফতরে ঢোকেন। তখন একান্ত সচিব দাফতরিক কাজে সচিবের কক্ষে অবস্থান করছিলেন। সে সময় রোজিনা দাফতরিক গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র শরীরের বিভিন্ন স্থানে লুকানোর পাশাপাশি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ছবি তোলেন।

ওই সময় সচিবের দফতরে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য মিজানুর রহমান খান বিষয়টি দেখতে পেয়ে রোজিনাকে বাধা দেন। আর নির্ধারিত কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতে তিনি ওই কক্ষে কী করছেন, তা জানতে চান। এ সময় রোজিনা নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দেন।

অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেছা বেগম তল্লাশি করে রোজিনার কাছ থেকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ কাজগপত্র এবং নথির ছবি সংবলিত মোবাইল উদ্ধার করেন।

এরপর রাত ৯টার দিকে রোজিনাকে সচিবালয় থেকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। রাত ১১টার পর মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। রোজিনাকে মঙ্গলবার সকালে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে নেয়া হয়। আদালত চত্বরে তার স্বামী মনিরুল ইসলাম মিঠু পাল্টা মামলা করার কথা জানান।

রোজিনাকে নির্যাতন করা হয়েছে জানিয়ে মিঠু বলেন, ‘তাকে নির্যাতন করা হয়েছে, অ্যাসল্ট করা হয়েছে, গলা টিপে ধরা হয়েছে। জোর করে তার মোবাইল নিয়ে নেয়া হয়েছে।’

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ