প্রিয় সংবাদ ডেস্ক :: কারাগারে বসে জুমের মাধ্যমে কোম্পানির অন্য সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীন; গঠন করেন একের পর এক এমএলএম কোম্পানি; পরিচালনা করেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান; নির্দেশনা দেন সহকর্মীদের- এসব তথ্যসংবলিত একটি প্রতিবেদন গত বৃহস্পতিবার দৈনিক আমাদের সময়ে প্রকাশ হয় ‘কারাগারে বসে জুমে মিটিং করেন ডেসটিনির রফিকুল’ শিরোনামে।
প্রতিবেদন প্রকাশের পর শুরু হয় তোলপাড়। নড়েচড়ে বসে সংশ্লিষ্ট মহল। প্রকাশিত সংবাদে তুলে ধরা তথ্যের ভিত্তিতে পুরো বিষয়টি আমলে নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে কারা অধিদপ্তর। ক্লোজড করা হয় প্রিজন্স সেলের ৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে। আজ শুক্রবার জানা গেল রফিকুল আমিনের মোবাইল ফোন ব্যবহার ও জুম মিটিংয়ে অংশ নেওয়ার ঘটনায় ১৩ কারারক্ষীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা ও চার কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ছাড়া কারা অধিদপ্তর সূত্রেওিএ তথ্য জানা যায়। সাময়িক বরখাস্ত হওয়া চার কারারক্ষী হলেন- মো. ইউনুস আলী মোল্লা, মীর বদিউজ্জামান, মো. আব্দুস সালাম ও মো. আনোয়ার হোসেন।
আর বিভাগীয় মামলার আসামিরা হলে- মো. জসিম উদ্দিন, সাইদুল হক খান, মো. বিল্লাল হোসেন, ইব্রাহিম খলিল, মো. বরকত উল্লাহ, মো. এনামুল হক, মো. সরোয়ার হোসেন, মোজাম্মেল হক, জাহিদুল ইসলাম, আমির হোসেন, কামরুল ইসলাম, শাকিল মিয়া ও জুনিয়র কারারক্ষী আব্দুল আলীম।
এদিকে, তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোমিনুর রহমান মামুন দৈনিক আমাদের সময়কে বলেন, ইতোমধ্যে ঢাকা বিভাগের ডিআইজি প্রিজন্স তৌহিদুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুই সদস্য করা হয়েছে মুন্সীগঞ্জের জেল সুপার নুরুন্নবী ভুইয়া এবং নারায়ণগঞ্জের জেলার শাহ রফিকুল ইসলামকে। এ কমিটি আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করবে।
কারা মহাপরিদর্শক আরও জানান, তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া হাসপাতালের প্রিজন সেলে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালনে একজন ডেপুটি জেলার নিয়োগ করা হবে বলে জানান কারা অধিদপ্তর প্রধান।
বহুল আলোচিত ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের এমডি রফিকুল আমীন গত দুমাস ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন। এর আগেও কয়েক দফায় তিনি এখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন।