spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

চট্টগ্রামে পাহাড়ের পাদদেশে জেলা প্রশাসনের পর এবার চসিকের মাইকিং

spot_img

মো.মুক্তার হোসেন বাবু : চট্টগ্রাম মহানগরীতে এক টানা বর্ষণে ভূমিধসে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ৯টি পাহাড়ের পাদদেশে জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ অভিযান চালিয়ে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ৪৯০ পরিবারকে অন্যত্র সরিয়ে দেয়ার পর গতকাল মঙ্গলবার মাইকিং করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। বৈরী আবহাওয়ার কারণে পাহাড়ধস ও যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঠেকাতে নগরের বিভিন্ন পাহাড় ও পাহাড়ের পাদদেশে এবং পতেঙ্গা এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরতদের সরে নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার জন্য এই মাইকিং করা হয়।
চসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) সুদীপ বসাক সেল ফোনে জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে যেকোনো দুর্যোগ মোকাবেলায় সিটি মেয়রের নির্দেশনায় নগরের ৪১ ওয়ার্ডে সর্বাত্মক প্রস্ততি গ্রহণ করা হয়েছে। নগরের বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় ও পাহাড়ের পাদদেশ এবং পতেঙ্গা এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরতদের সরে যেতে মাইকিং করা হয়েছে।
চসিক সূত্র জানায়, গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের নির্দেশনায় নগরের টাইগারপাস, বাটালি হিল, মিয়ার পাহাড়, পতেঙ্গা এলাকাসহ বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে এ সতর্কতামূলক মাইকিং করা হয়েছে। চসিকের প্রকৌশল ও পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এ কার্যক্রমে অংশ নেন।
এর আগে গত সোমবার জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ টানা বর্ষণে ভূমিধসে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ৯টি পাহাড়ের পাদদেশে অভিযান চালিয়ে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ১৭০টি ঘরবাড়ি উচ্ছেদ করে সেখানে লাল পতাকা টাঙানোর পাশাপাশি ৪৯০ পরিবারকে অন্যত্র সরিয়ে দেয়া হয়েছে। গত রোববার রাতেও কিছু পরিবারকে সরিয়ে নেওয়া হয়। ৪ সার্কেলের অন্তর্ভুক্ত ৯ ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে এই অভিযান পরিচালনা করে এদের সরিয়ে দেয়া হয়। এর আগে ভারী বর্ষণের কারণে গত রোববার পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করা পরিবারগুলোকে সরে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়ে মাইকিং করে জেলা প্রশাসন। ২০০৭ সালের ১১ জুন ভারি বৃষ্টির পর পাহাড় ধসে নগরী এবং জালালাবাদসহ আশেপাশের এলাকায় পাহাড় ধসে ১২৭ জনের প্রাণহানি হয়েছিল।

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ