spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সংকট নেই জ্বালানি তেলের

spot_img

দেশে এখন ডিজেলের মজুতের পরিমাণ ৪ লাখ ৫ হাজার টন। ফার্নেস অয়েলের মজুত ৮৩ হাজার টন, অকটেন ১৪ হাজার ৩০০ টন, পেট্রোল ১৭ হাজার ৬০০ টন এবং কেরোসিনের মজুত ১৩ হাজার ৪০০ টন।

- Advertisement -

জ্বালানি তেলের মজুত নিয়ে যে শঙ্কার কথা বিভিন্ন মাধ্যমে বলা হচ্ছে তা উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)।

বিপিসি জানিয়েছে, দেশে জ্বালানির তেলের কোন সংকট নেই, যা শুনছেন তা গুজব। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এলসি (ঋণপত্র) সংকটের কারণে সম্প্রতি আমদানিতে কিছুটা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, তবে সে সংকট দূর করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন:  কুষ্টিয়ায় তেলবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত, উদ্ধার কাজ চলছে

দেশে ডিজেলের মজুতের সক্ষমতা ছয় লাখ টনের বেশি। অকটেন মজুতের সক্ষমতা ৪৬ হাজার টন, পেট্রোলের মজুতের সক্ষমতা ৩২ হাজার টন, কেরোসিন ৪২ হাজার টন, ফার্নেস অয়েল মজুত রাখা যায় দেড় লাখ টন। বিপিসির সক্ষমতা অনুযায়ী দেশে সাধারণত ৪৫ দিনের ডিজেল সবসময় মজুত রাখা যায়। বর্তমানে তা ৩৫ দিনে নেমে এসেছে। আর এ নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। হঠাৎ করে ডিজেলের বিক্রি বেড়ে যাওয়া, আবার সীমান্ত এলাকায় ডিজেল পাচার রোধে রেড এলার্ট জারি হওয়ায় এ খাতে এক ধরনের ভীতি তৈরি হয়েছে। তবে বিপিসি বলছে, এ পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে একটি গোষ্ঠী গুজব ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে।

বিপিসির চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ বলেন, “ডিজেলের মজুদ কিছুটা কমেছে, তবে কয়েকটি জাহাজ চট্টগ্রামের পথে রয়েছে। এগুলো পৌঁছাতে পৌঁছাতে যে সামান্য পরিমাণ মজুদ কমেছে তা পূরণ হয়ে যাবে। অন্যদিকে অকটেন ও পেট্রোল দেশেই উৎপাদিত হয়। স্বল্প দিনের মজুদ রয়েছে বলে যে গুজব ছড়ানো হয়েছে তা সঠিক নয়।”

তিনি আরো বলেন, দেশে জ্বালানির কোনো ঘাটতি নেই। এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণও নেই। সাম্প্রতিক সময়ে ডলারের মূল্য বেড়ে যাওয়ার কারণে ঋণপত্র খুলতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। কিন্তু তাতে জ্বালানি সংকট তৈরি হয়নি।

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ