সারাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক বদলি কার্যক্রম আগামী আগস্ট মাস থেকে শুরু হবে। তবে ঢাকাসহ দেশের ১১টি মহানগর এলাকায় শিক্ষক বদলি করা হবে না। এজন্য আলাদা নীতিমালা করা হবে। এরপর মহানগরের শিক্ষক বদলি চালু করা হবে।
বুধবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সফটওয়্যারে শিক্ষক বদলি কার্যক্রমের পাইলটিং কাজের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় ১৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক বদলি পাইলটিং শুরু করা হয়। সেখানে ২৬ জন শিক্ষক বদলির জন্য আবেদন করেন। এর মধ্যে যোগ্যতা না থাকায় তিনটি আবেদন অটোমেটিক বাতিল হয়ে যায়। বাকি ২৩টি আবেদন জমা হয়।
তিনি বলেন, শিক্ষকের নিজস্ব কোড ও পাসওয়ার্ড দিয়ে সফটওয়্যারে প্রবেশ করতে হবে। বদলির জন্য নিজের তথ্য ও যৌক্তিক কারণ উল্লেখ করতে হবে। একজন শিক্ষক তিনটি বিদ্যালয় চয়েজ দিতে পারবেন। স্বামীর কর্মস্থল, সিনিয়রিটিসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। এর ভিত্তিতে স্কোরিং করে বদলির জন্য যোগ্যদের নির্বাচন করা হবে। একজন ব্যক্তি অন্যজনের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষক বদলির ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অনিয়ম করার সুযোগ নেই। শিক্ষক আবেদন করার পর প্রধান শিক্ষক সেটি উপজেলা পরে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়ে দেবেন। কর্মকর্তারা শুধুমাত্র সম্মতি দিতে পারবেন। এজন্য তিন কার্যদিবস সময় পাবেন। এর মধ্যে সম্মতি দেয়া না হলে সেটি অটোমেটিক পাস হয়ে যাবে। তবে সম্মতি না দিলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হবে।