রাশেদ খাঁনঃ চার বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকা মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার চালু হয়েছে অবশেষে। সোমবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে ৫৩ কর্মীর মালয়েশিয়ার উদ্দেশে যাত্রার মধ্য দিয়ে পুনরায় এই দ্বিতীয় বৃহৎ শ্রমবাজার চালু হলো। এদিন রাতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মীদের বিদায় জানান জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক শহীদুল আলম।
শহিদুল আলম জানিয়েছেন, সোমবার রাত থেকে শুরু হয়েছে কর্মী যাওয়া। শুরুতে ৫৩ জন গেলেন। প্রায় পাঁচ হাজারের মতো ফ্লাইট প্রসেসের মধ্যে আছে। এ মাসে আরও কয়েকটা ফ্লাইট যাবে। আগামী মাস থেকে পুরোদমে যাওয়া শুরু হবে। প্রতিমাসে ৮ থেকে ১০ হাজার কর্মী যাবে।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মালয়েশিয়া শ্রম বাজার বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ ও কাঙ্ক্ষিত শ্রমবাজার। মালয়েশিয়ার নির্মাণ, সেবা, কৃষি, পর্যটনসহ বিভিন্ন সেক্টরে বাংলাদেশি কর্মীরা দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে কাজ করে আসছেন। ২০১৯ সাল থেকে মালয়েশিয়া শ্রমবাজারে কর্মী প্রেরণ বন্ধ থাকার পর সরকারের উদ্যোগে এবং প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য উন্মুক্ত হয়েছে।’
২০১৩ সালে জিটুজি পদ্ধতিতে এবং পরবর্তীতে ২০১৭ ও ২০১৮ সালে জিটুজি প্লাস পদ্ধতিতে প্রায় আড়াই লাখের বেশি কর্মী মালয়েশিয়া যান। পরে ২০১৯ সালে মালয়েশিয়া কর্মী নেওয়া বন্ধ করে দেয়। পরে বাংলাদেশ সরকার মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বাংলাদেশী কর্মীদের জন্য উন্মুক্ত করার চেষ্টা চালায়।
২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর দুই দেশের মধ্যে এ বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হয়। পরে রিক্রুটিং এজেন্সি মেসার্স সিমপ্লেক্স ইন্টারন্যাশনালের নামে মন্ত্রণালয় ৩২৫ জন কর্মীর নিয়োগ অনুমতি দেয়।
এ পর্যন্ত প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ১৯টি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে মোট ৩ হাজার ২২ জন কর্মী নিয়োগের অনুমতি দিয়েছে।