spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

মজুরি না বাড়ালে কাজে যাবে না চা শ্রমিকরা

spot_img

মৌলভীবাজারের ৯২টিসহ দেশের সব চা বাগানে মজুরি বাড়ানোর দাবিতে শ্রমিকদের ধর্মঘট চলছে। এর মধ্যে বিষয়টি নিরসনে চা শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে আসেন শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী। তিনি ধর্মঘট স্থগিত করে আলোচনায় বসার আহ্বান জানালে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন তা প্রত্যাখান করে মজুরি না বাড়ালে কাজ বন্ধ থাকবে এবং শ্রমিকদের আন্দোলন চলবে বলে ঘোষণা দেয়।

- Advertisement -

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) সকালে শ্রীমঙ্গলের শ্রম উপপরিচালক ও রেজিস্ট্রার অব ট্রেড ইউনিয়নের সভাকক্ষে চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী।

আলোচনা সভায় বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মাখন লাল কর্মকার, সহসভাপতি পঙ্কজ কন্দ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নিপেন পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরাসহ সাতটি ভ্যালীর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকেরা উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা শুরু আগে শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘তিনি মজুরি নিয়ে কথা বলতে আসেননি। মজুরি নিয়ে কথা বলবেন মজুরি কমিশন, মন্ত্রী, সচিব, ও মালিকপক্ষ। শ্রমিকেরা ধর্মঘট করায় প্রতিদিন বাগান মালিকদের প্রায় ৮ কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে। তিনি আলোচনার মাধ্যমে চেষ্টা করবেন যাতে শ্রমিকেরা আন্দোলন থেকে সরে আসে।’

তবে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল জানান, ‘তারা আন্দোলনের যে পর্যায়ে আছেন, সেখান থেকে ফেরা সম্ভবনা। তৃণমূল পর্যায়ে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে, সেখান থেকে মজুরি বৃদ্ধির ঘোষণা না আসা ছাড়া ফেরা যাবে না।’   এদিকে সভা চলাকালে চট্টগ্রাম, সিলেটসহ প্রতিটি চা বাগানেই শ্রমিকেরা ধর্মঘটের অংশ হিসেবে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করছেন। শ্রম অধিদপ্তরের সঙ্গে মজুরি নিয়ে বৈঠক চলাকালেও কমলগঞ্জের মনু-দলই ভ্যালির ২৩ চা বাগানে শ্রমিকেরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। সমাবেশে বক্তারা ৩০০ টাকা মজুরির দাবি না মানলে রাজপথ না ছাড়ার ঘোষণাও দেন।

প্রতিদিন ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে গত ৯ আগস্ট থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত চার দিন দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করেন চা শ্রমিকরা। পরে ১৩ আগস্ট থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করছেন তারা। দাবি না মানা পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেও জানান শ্রমিক নেতারা।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় নির্বাহী উপদেষ্টা রামভজন কৈরী বলেন, ‘দীর্ঘ ১৯ মাস থেকে তাদের মজুরি বাড়ানোর বিষয়ে মালিকপক্ষ কথা বলতে রাজি হচ্ছে না। তারাও আন্দোলন চান না, সুন্দর সমাধান চাই। মানসম্মত মজুরি পেলে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হবে।’

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ