বিএনপির আন্দোলন কখন কোন দিকে মোড় নেবে তা আওয়ামী লীগের জানা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।তিনি বলেন, আন্দোলন বা রাজনীতি একটি
গতিশীল প্রক্রিয়া। এটি কেউ ঠিক করতে পারে না। আন্দোলনতো হবেই। কারণ স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কোনো দিন সফল হয়নি বাংলাদেশেও হয়নি । দেশে স্বৈরাচারী সরকারের
বিরুদ্ধে অতীতে যেভাবে আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে নেয়া হয়েছিল সামনেও সেভাবে নেয়া হবে। বিএনপির আন্দোলন নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের এক বক্তব্যের
প্রতিক্রিয়ায় শনিবার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার নিজ বাড়িতে ঈদুল ফিতরের নামাজ শেষে নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। এর আগে সকালে
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নিজ বাড়ির মসজিদে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদের কুশল বিনিময় শেষে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপির আন্দোলনের
রঙিন স্বপ্ন কর্পূরের মতো উড়ে যাবে। কারণ জনগণ তাদের আন্দোলনে সাড়া দেবে না। বিএনপি গত সাড়ে ৯ বছর পর্যন্ত আন্দোলনের হুমকি দিয়ে আসছে। কিন্তু কোনো লাভ নেই। ওবায়দুল কাদেরকে
উদ্দেশ করে মওদুদ আহমদ বলেন, তার কাছ থেকে আমরা অনেক ভালো কিছু আশা করেছিলাম কিন্তু তিনিতো একজন অনির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। নৈতিকভাবে এ সংসদের কোনো বৈধতা নেই। তাই তিনি
দাবি করতে পারেন না যে তিনি এ অঞ্চলের জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। কিন্তু টেকনিক্যাল কারণে তারা ক্ষমতায়। তার মানে এই নয় যে জনগণ তাদের সঙ্গে আছে বা জনগণের সমর্থন নিয়ে
তারা ক্ষমতায় এসেছেন। সবমিলিয়ে এবং বর্তমান প্রেক্ষাপটে তার কাছ থেকে সে রকম আচরণ পাওটাই স্বাভাবিক। তিনি আরও বলেন, আমি এ এলাকা থেকে পাঁচবারের নির্বাচিত প্রতিনিধি ছিলাম। কিন্তু
অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে গত চার থেকে পাঁচ বছর ধরে আমাকে কোনো সভা-সমাবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। এমনকি ঘোরায়াভাবেও কিছু করতে দেয়া হচ্ছে না। এমনকি রমযান মাসে
নেতাকর্মীদের নিয়ে ইফতার করবো তাও করতে দেয়া হয়নি। গত ৮ দিন আমি আমার বাড়িতে এক প্রকার অবরুদ্ধ হয়ে আছি। পুলিশ আমাকে কোথায়ও গিয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ইফতার করতে
যেতে দেয়নি। ইফতার পার্টি করতে দেয়নি। পুলিশের বক্তব্য ছিল ঊর্ধ্বতনদের নির্দেশে তারা এ কাজ করেছে। মওদুদ আহমদ বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজ এলাকায় ন্যূনতম ভদ্রতা
দেখাচ্ছেন না। যিনি তার এলাকায় ভদ্রতা, শালীনতা দেখাতে পারেন না তিনি কি করে বিএনপি সর্ম্পকে কথা বলেন এবং ভবিষ্যৎ বাণী করেন। তার সে যোগতা আছে বলে মনে করি না। বিএনপির এই
সিনিয়র নেতা বলেন, বিএনপির জন্য বড় আন্দোলন হলো বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি। তারপরে জাতীয় ঐক্য প্রসারিত করা। গণতান্ত্রিক দেশপ্রেমিক সংগঠনগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করা। চারদলীয়
ঐক্যজোটের বাইরে যারা আছে তাদের ঐক্য করা এবং জাতীয় ঐক্যমত সৃষ্টি করা। এরপরে আমাদের আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে নেয়া হবে। অতীতে যেভাবে আন্দোলন সফল হয়েছে সামনেও সফল হবে।