spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

এক রাতেই কোটি টাকার ইলিশ লুট

spot_img

চট্টগ্রামে গভীর সাগরে সংঘবদ্ধ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। কুতুবদিয়া থেকে কালীচর পর্যন্ত চ্যানেলে ৯টি মাছ ধরার বোট থেকে প্রায় কোটি টাকার ইলিশ লুট হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জেলেরা।

- Advertisement -

শুক্রবার দিবাগত রাতে বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজারের মহেশখালী থেকে সন্দ্বীপ চ্যানেলে কালীরচর থেকে আনোয়ারার গহিরা পর্যন্ত প্রায় ৫০ নটিক্যাল মাইল এলাকায় এ গণলুটের ঘটনা ঘটে। শনিবার জেলেরা চট্টগ্রাম ফিরিঙ্গিবাজার ঘাটে ফিরে এলে বিষয়টি জানাজানি হয়।

পুলিশ জানায়, একটি গ্রুপ একাধিক টিমে ভাগ হয়ে একই সময়ে ঘটনাটি ঘটিয়েছে। ডাকাতির সময় দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ট্রলারে থাকা জেলেদের ইঞ্জিনরুমে বেঁধে ইলিশ মাছ লুট করে নিয়ে যায় জলদস্যুরা। পরে ৯৯৯ এ কল পুলিশকে খবর দেয় জেলেরা।

জলদস্যুতার কবলে পড়া জেলে কবির বলেন, রাত ৯টায় কালিরচর এলাকায় মাছ ধরছিলাম। এ সময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই ১৫ থেকে ২০ জনের একটি গ্রুপ বোটে উঠে অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে ফেলে। এ সময় বোটের ইঞ্জিন নষ্ট করে দেয় তারা। বোটটিতে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকার ইলিশ মাছ ছিল। সব নিয়ে গেছে তারা।

প্রতি ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটারের মধ্যে একই কায়দায় একাধিক ডাকাত দল হানা দেয় ওই চ্যানেলের আশপাশে থাকা ট্রলারগুলোতে। এভাবে ৯টি ট্রলারে প্রায় কোটি টাকার ইলিশ লুট হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলেরা।

জেলেরা জানান, ১৫ থেকে ২০ জনের ডাকাত দল হানা দিয়ে প্রথমেই বোটের ইঞ্জিন অকেজো করে দেয়। পরে বোটে থাকা জেলেদের বেঁধে রাখা হয় ইঞ্জিনরুমে। এ সময় ডাকাতদের হাতে দা, কিরিচসহ দেশীয় অস্ত্র ছিল। গভীর সাগরে নেটওয়ার্ক না থাকার কারণে তাৎক্ষণিক পুলিশকে খবর দিতে পারেনি কেউ। পরে মোবাইল নেটওয়ার্ক পাওয়া গেলে ৯৯৯-এ কল দিয়ে জলদস্যুতার ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়।

অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সদরঘাট নৌ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, টানা তিনদিন ইলিশ মাছ শিকার করতে সাগরে ফালির চর গ্যাস ফিল্ড এলাকার অবস্থান করছিল জেলেরা। মাছ শিকার শেষে নগরের অভয় মিত্র ঘাটের দিকে ফেরার পথে ৭টি জলদস্যু দল ট্রলারে উঠে ইঞ্জিনরুমে জেলেদের বন্দি করে রাখে। এই কায়দয় তারা জেলেদের মোট ৯ টি বোটে আক্রমণ করে।

তিনি আরও বলেন, রাত ৩টায় দুইটি ট্রালার ঘাটে ভিড়লে আহত অবস্থায় ৮ জনকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তাদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ থেকে জানা যায় মাছ লুট করা জলদস্যু বাশখালী এলাকার বাসিন্দা। ডাকাতির ঘটনাগুলো ঘটেছে কক্সবাজারের মহেশখালী, চট্টগ্রামের বাঁশখালী, আনোয়ারা ও সন্দ্বীপ থানা এলাকায়। ডাকাতির শিকার জেলেদের সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়েরের জন্য বলা হয়েছে।

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ