আর খেলবেন না মিসরের হয়ে। এমনটাই জানিয়েছেন মোহাম্মদ সালাহ। তার ঘনিষ্ঠ একজন সিএনএনকে এ কথা জানিয়েছেন। চেচনিয়ার নাগরিকত্ব নিয়ে উঠা বিতর্কের জেরেই সালাহ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন তিনি।
বিশ্বকাপের অনুশীলনের জন্য চেচনিয়া প্রজাতন্ত্রের রাজধানী গ্রোজনিতে বেইস ক্যাম্প করেছিল মিসর। দুই ম্যাচে হেরে ইতোমধ্যেই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে তারা। তাই শুক্রবার সালাহদের বিদায়ী সংবর্ধনা দিয়েছে চেচনিয়ার নেতা রমজান কাদিরভ। এরপরই সালাহকে নাগরিকত্ব দেয়ার ঘোষণা দেন কাদিরভ।
সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে কাদিরভ জানান, ‘মোহাম্মদ সালাহ এখন চেচনিয়ার একজন সম্মানিত নাগরিক। আমি সালাহকে এই সম্মান জানিয়ে ফরমান জারি করছি। এবং সালাহকে এর একটি কপি পাঠিয়েছি। এটি উদযাপনের জন্য আমি রাতে মিসরের পুরো দলের সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করেছি।’
রাশিয়ার একটি বার্তা সংস্থার ভিডিওতে দেখা গেছে, নৈশভোজে এ ঘোষণার পর সালাহকে চেচনিয়ার পতাকাযুক্ত একটি মর্যাদাপূর্ণ ব্যাজও পরিয়ে দিচ্ছেন কাদিরভ।
এই ঘটনার পর সমালোচনার মুখে পড়েন সালাহ। কিন্তু তিনি কোনো রাজনীতির অংশ হতে চান না।
মিসরের ফুটবল ফেডারেশন সিএনএনকে পাঠানো এক ই-মেইলে জানিয়েছে, ‘তারা খুবই আশ্চর্য হয়েছেন এই কথা শুনে যে সালাহ মিসরের জাতীয় দল থেকে বিদায় নিতে চাচ্ছেন। অথচ এ ব্যাপারে তিনি তাদের জানাননি।’
বিবৃতিতে সংস্থাটি আরো জানায়, ‘সালাহ কোনো সিদ্ধান্ত নিলে আমাদের জানান। আমরা পুরোদিন সালাহর সাথে ছিলাম। কিন্তু তিনি আমাদের কারো সাথে এই ব্যাপারে কোনো কথা বলেননি।’
তারা জানায়, ‘আমরা এখানে খেলতে এসেছি। ফিফার নীতিমালা অনুযায়ী, আমরা কোনো রাজনৈতিক বিষয়ে আলোচনা করি না। আর যদি তেমন কিছু নিয়ে কথা বলতে হয়, তবে সেটা সরাসরি ফিফার সাথেই বলা উচিত।’
এদিকে আজ শেষ ম্যাচে সৌদি আরবের বিপক্ষে মাঠে নামবে মিসর। জিতলে গ্রুপে তৃতীয় স্থান নিয়ে সম্মানের সাথে বিদায় নিতে পারবে তারা। সেই সম্মান রাখতেই আজ লড়বে সালাহরা।