‘মায়ের কান্না’ থেকে জিয়ার বিচার চেয়ে তথ্যচিত্র

১৯৭৫ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা, সামরিক কর্মকর্তা ও সৈনিক হত্যার অপরাধে জিয়ার মরণোত্তর বিচার করতে হবে— এমন দাবি নিয়ে প্রতিবাদী সমাবেশ ‌‘মায়ের কান্না’ ও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

- Advertisement -

সেখানে দাবি করা হয়, মানবাধিকার লঙ্ঘন করে আন্দোলনের নামে সমগ্র দেশে আগুন দিয়ে হাজার হাজার মানুষ পুড়িয়ে হত্যা, খুন, ধর্ষণ ও নির্যাতনের অপরাধে বিএনপির রাজনীতি স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধসহ রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে।

বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে হাজার হাজার মানুষ খুন, গুম, ধর্ষণ, বোমা হামলা ও নির্যাতনের বিচারের দাবিতে রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।

সমাবেশে উপস্থিত অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল বলেন, ‘জিয়াউর রহমান ছিলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন আইএসআই  কর্মকর্তা। তিনি পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। জিয়াউর রহমানের সময় কত মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছে, তার কোনও হিসাব নেই। তার উত্তরসূরিরা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।’

সমাবেশে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের পক্ষ থেকে চার দফা দাবি জানানো হয়। এগুলো হচ্ছে— বিএনপি-জামায়াত জোটের শাসনামলে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সারাদেশে একযোগে বোমা হামলা, অগ্নিসন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ সৃষ্টি, খুন, ধর্ষণ ও নির্যাতনের সঙ্গে জড়িতদেরকে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচার করতে হবে।

সংসদে নিয়ে আসেন বেগম জিয়া। তৎকালীন জাতীয় পত্রিকায় ছাত্রদলের তাণ্ডবের চিত্র, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট ঢাকাসহ দেশের ৩০০ স্থানে ৫০০ সিরিজ বোমা হামলা হয়। আধাঘণ্টার ব্যবধানে চালানো এ সিরিজ বোমা হামলায় দুজন নিহত ও দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়েছিলেন। বিএনপি-জামায়াতের ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সময়ে মোট ১১৫৭ জন বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন। জিয়াউর রহমানের সামরিক শাসনের সময় বিনা বিচারে হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা, সামরিক অফিসার ও সৈনিক হত্যার কথা উল্লেখ করে তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে সমাবেশ স্থলে।

সর্বশেষ