spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

থানা থেকে ছাড়া পাওয়ার পর বিএনপি নেতার পদত্যাগ

spot_img

মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদকে রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে বাসা থেকে ডেকে থানায় নেওয়া হয়। সেখানে তাকে প্রায় ছয় ঘণ্টা আটকে রাখার পর রাতে ছাড়ে। পর দিন সোমবার বিকালে তিনি দল থেকে পদত্যাগ করেছেন।

- Advertisement -

এরপরই অভিযোগ উঠেছে থানায় আটকে রাখার কারণে তিনি দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। তবে দলের এক সিনিয়র সহ-সভাপতির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে নানান বিষয়ে বনিবনা না হওয়ার কারণে চল্লিশ বছরের রাজনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে এই পদত্যাগ করেছেন বলে জানান আসাদুজ্জামান আসাদ। তিনি জানান, প্রায় মাস খানেক ধরে বিএনপির রাজনীতি আর করবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

তিনি আজ বিকালে দলের জেলা সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক বরাবর পদত্যাগপত্র লিখে পাঠান। এ বিষয়ে দলের সভাপতি আফরোজা খান রিতার প্রতিক্রিয়া জানতে তার মোবাইল নম্বরে কল দেওয়া হলেও রিসিভ করেননি।

জানা গেছে, রবিবার বিকাল সাড়ে ৫টার  দিকে তার সেওতাস্থ শহীদ তজু সড়কের বাসা থেকে সদর থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) মো. কোহিনুর মিয়াসহ কয়েকজন পুলিশ তাকে থানায় ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে প্রায় দীর্ঘ সাড়ে ছয় ঘণ্টা আটক রাখার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।

আসাদ জানান, এ সময় পুলিশ তাকে বিএনপির রাজনৈতিক নানান বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন। তবে তার সঙ্গে পুলিশ কোনও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেননি। পদত্যাগের সঙ্গে জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশের করা মামলার কোনও সম্পৃক্ততা নেই বলেও জানান তিনি।

পদত্যাগ করা বিএনপির এই নেতা জানান, তার সাথে দলের এক সিনিয়র এক আইনজীবী নেতার সঙ্গে পারিবারিকভাবে অমিল ও টানাপোড়নের কথা দলীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ নেতৃস্থানীয় অনেক নেতারা জানতেন। দলীয়ভাবে বিষয়টি ফয়সালা না হওয়ায় তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে দল না করার সিদ্ধান্ত নেন। তার স্ত্রী রোমেজা আক্তার খান মাহিন জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী যুব মহিলা লীগের মানিকগঞ্জ শাখার আহ্বায়ক।

তিনি নিজের ও স্ত্রীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকেও বিএনপি থেকে পদত্যাগ করার বিষয়টি জানান দেন।

তবে কী কারণে তাকে থানায় ডেকে নেওয়া হলো এই বিষয়ে পুলিশের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ