পণ্যের দাম বাড়ানো যৌক্তিক কিনা খতিয়ে দেখতে চায় ভোক্তা অধিকার

সাবান, শ্যাম্পুর মতো নিত্যব্যবহার্য পণ্যের দাম যৌক্তিকভাবে বাড়ানো হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে চায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সে লক্ষ্যে এবার পরিদর্শন করা হবে উৎপাদন কারখানাগুলো। বুধবার অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে এক সভায় এ কথা জানান সংস্থাটির মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান।

- Advertisement -

খাদ্যপণ্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেশ কয়েক মাস ধরেই বাড়ছে সাবান, শাম্পু, ডিটারজেন্ট পাউডার, পেস্টের মতো নিত্যব্যবহার্য পণ্যের দাম। গত বছর আধা কেজির যে ডিটারজেন্টের দাম ছিলো ৬০ টাকা, সেটি এখন ৯০ টাকা। ৫২ টাকার সাবানের দামও এখন ৭৫ টাকা। ছোট মিনিপ্যাক সাবান ১০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৫ টাকা।

এমন পরিস্থিতিতে এসব পণ্যের উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ে সভা করলো ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

সভায় প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবি, আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের দামসহ উৎপাদন খরচ বেড়েছে। পাশাপাশি অস্থির ডলারের বাজারও। যার চাপ পড়ছে ভোক্তাদের ওপর।

সভায় ইউনিলিভারের সিএফও জাহিদ মালিথা বলেন, আমরা যদি আরও দাম বাড়াতাম, আমাদের খরচটা বাজার থেকেই ‍তুলে নিতাম, তাহলে দাম অনেক বেশি বাড়ানো লাগত। এতে ভোক্তা পর্যায়ে আরও প্রভাব পড়ত। সেটা কিন্তু আমরা করছি না।

স্কয়ার টয়লেট্রিজের পরিচালক মালিক সাঈদ বলেন, আমাদের কিন্তু স্থায়ী ভোক্তা রয়েছে। তারা যদি দাম বেশির কারণে ক্ষুব্ধ হন, তাহলে তারা অন্য পণ্যের দিকে ধাবিত হবেন। কারণ, বাংলাদেশে সাবান প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান অনেক রয়েছে।

তবে পণ্যের দাম কতটুকু যৌক্তিক কারণে বেড়েছে, তা বিশ্লেষণ করার কথা জানান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান।

ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, কোনো পণ্যের দাম বাড়াতে হলে তার পক্ষে যৌক্তিক কারণ দেখাতে হবে কোম্পানিগুলোকে। সেজন্য তাদের ফ্যাক্টরিতে আমরা যাবো। কত দামে কাঁচামাল আমদানি হচ্ছে, কোনো পণ্য উৎপাদনে কত খরচ হচ্ছে এবং কোন পণ্য কী দামে বাজারে বিক্রি হচ্ছে সেগুলো আমরা বিশ্লেষণ করতে চাই।

তিনি বলেন, পরবর্তী সময়ে আমরা পর্যবেক্ষণ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে প্রতিবেদন দেবো। এরপর বিষয়গুলো নিয়ে সিদ্ধান্ত আসবে।

সফিকুজ্জামান আরও বলেন, এখন বাড়তি দাম দিয়ে নিত্যব্যবহার্য পণ্য কিনতে ভোক্তাদের কষ্ট হচ্ছে। বিশেষত সীমিত ও নিম্নআয়ের মানুষের কষ্ট বেশি হচ্ছে। সে কারণেই আমরা মতবিনিময় সভায় বসেছি। পণ্যের যৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে কি না, সেটা আমরা দেখতে চাই।

খাদ্যপণ্যের মতো এসব নিত্য ব্যবহার্য পণ্যের দাম ঠিক করা যায় কিনা তা পর্যবেক্ষণ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে প্রতিবেদন দেয়া হবে বলেও জানান সংস্থাটির মহাপরিচালক।

সর্বশেষ