spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

জ্বালানিতে ২০ হাজার কোটি রুপি প্রণোদনা দিচ্ছে ভারত

spot_img

আন্তর্জাতিক বাজার থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ও গ্যাস আমদানি করে অভ্যন্তরীণ খুচরা বাজারে বিক্রয় ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত তিন রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিকে ২০ হাজার কোটি রুপি (২৫০ কোটি ডলার) প্রণোদনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।

- Advertisement -

এই তিন কোম্পানি হলো হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন, ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন ও ইন্ডিয়ান অয়েল। সোমবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের জ্বালানি তেল বিষয়ক মন্ত্রণালয় এই তিন কোম্পনিকে সচল রাখতে অর্থ মন্ত্রণালয় বরাবর নগদ ২৮ হাজার কোটি রুপি প্রণোদনা চেয়েছিল, কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয় ২০ হাজার কোটি রুপি দিতে সম্মত হয়েছে।

ভারত তার মোট জ্বালানি তেলের চাহিদার শতভাগ ও গ্যাসের চাহিদার ৫০ ভাগ আন্তর্জাতিক বাজার থেকে আমদানি করে। দেশটির জ্বালানি তেল ও গ্যাসের খুচরা বাজারের ৯০ শতাংশেরও বেশি সরবরাহ আসে রাষ্ট্রায়ত্ব এই তিন কোম্পানি থেকে। আন্তর্জাতিক বাজার থেকে অপরিশোধিত তেল ও গ্যাস কিনে তা প্রক্রিয়াজাত করে খুচরা বাজারে ভর্তুকি দিয়ে তা বিক্রি করে এই তিন কোম্পানি।

এতদিন এই ব্যবস্থায় কোনো বিঘ্ন সৃষ্টি না হলেও করোনা মহামারি পরবর্তী অবস্থা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে বিশ্বজুড়ে জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় চলতি বছরের এপ্রিল থেকে ব্যাপকভাবে লোকসানের শিকার হচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলো। লোকসানের মাত্রা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, প্রণোদনা না দিয়ে অচলাবস্থার মধ্যে পড়বে হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন, ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন ও ইন্ডিয়ান অয়েল।

উদাহারণ হিসেবে বলা যায়, রান্না ও গৃহস্থালি কাজে ব্যবহৃত এলপিজি গ্যাসের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে গত দুই বছরে বেড়েছে ৩০৩ শতাংশ। কিন্তু এই সময়সীমায় ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে এলপিজির দাম বাড়ানো হয়েছে ২৮ শতাংশ। সরকারি ভর্তুকি না থাকলে এই দাম আরও বাড়ত।

তবে রাষ্ট্রায়ত্ত তিন কোম্পনিকে এই বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি প্রদানের কারণে কোষাগারে চাপ পড়বে ভারতের। কারণ বিশ্ববাজারে সারের দাম চড়া থাকার কারণে ইতোমধ্যে সারে ১০০ কোটি ৫০ লাখ রুপি ভর্তুকি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ