প্রিয় সংবাদ বিডি ডেস্ক :: সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় খোলাবাজারে পণ্য বিক্রি’র (ওএমএস) পণ্যও টিসিবির মতো কার্ডের মাধ্যমে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পরে বিকেলে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে প্রধানমন্ত্রীর ওই নির্দেশসহ মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো: মাহবুব হোসেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, চলমান ওএমএস কার্যক্রমে মাঝেমধ্যে ব্যবস্থাপনায় কিছু ঘাটতি সরকারের নজরে এসেছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী ব্যবস্থাপনার এই ঘাটতি উন্নতি করতে বলেছেন এবং টিসিবির পণ্যের মতো ওএমএস’র পণ্যও কার্ডের মাধ্যমে দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। কার্ড কিভাবে ও কাদের দেয়া হবে, তা এখন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সাথে বসে ঠিক করা হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। আর কার্ড না হওয়া পর্যন্ত এখনকার মতোই ওএমএস কার্যক্রম চলবে বলেও জানান তিনি।
মাহবুব হোসেন বলেন, মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আইন (সংশোধন) আইন, ২০২৩’-এর খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে মূলত ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি ও কোষাধ্যক্ষের মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে চার বছর করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, অপরাপর সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি, প্রো-ভিসি ও কোষাধ্যক্ষের মেয়াদ চার বছর। কিন্তু বিদ্যমান আইনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমইউ) এসব পদের মেয়াদ তিন বছর। এটিকেও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো চার বছর করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের সদস্য সংখ্যা একটি বাড়িয়ে ৩১ জন করা হয়েছে। এর মধ্যে স্পিকার কর্তৃক মনোনীত জাতীয় সংসদের তিনজন সদস্যের মধ্যে একজন নারী সদস্য হতে হবে। এর আগে শুধু স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক সিন্ডিকেট সদস্য ছিলেন। এখন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকও এই সিন্ডিকেটের সদস্য হবেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বৈঠকে ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা ২০২২-২০৪১’-এর খসড়াসহ আরো একাধিক প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়। ডেল্টা প্ল্যান, ২০৪১ সাল নাগাদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা ও এসডিজি অর্জনে জলবায়ু ইস্যু বিবেচনায় নেয়ার জন্য এই পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লাগবে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের বাজেট থেকে ব্যয় করা হবে। তবে ২০৪১ সালে দেশের জিডিপিতে ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যোগ হবে। এই পরিকল্পনা পাঁচ বছর পর পর রিভিউ করা হবে।
মাহবুব হোসেন বলেন, মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘ইমপ্লিমেন্টিং এগ্রিমেন্ট বিটুইন কাতার আর্মড ফোর্সেস অ্যান্ড বাংলাদেশ আর্মড ফোর্সেস কনসার্নিং ডেপুটেশন (সেকেন্ডমেন্ট) অব অফিসার্স অ্যান্ড মিলিটারি পার্সোনেল ফ্রম বাংলাদেশ আর্মড ফোর্সেস টু কাতার আর্মড ফোর্সেস’ শীর্ষক চুক্তির খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এই চুক্তি চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে কুয়েতের মতো কাতারেও ১ হাজার ১২৯ জন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য কাজ করবে। তারা ডেপুটেশনে লিয়নে কাজ করবে।
সূত্র : বাসস